শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০১৮, ০৫:৪৭ সকাল
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০১৮, ০৫:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘অ্যাসাঞ্জ যুদ্ধ সম্পর্কে গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন’

শাহিদ সাদরুদ্দিন: ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেয়া জুলিয়ান এ্যাসান্জ কে হাতে পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ্যাসান্জ কে আশ্রয় দেয়া ইকুয়েডর এর উপর নিজেরা চাপ দিচ্ছে সরাসরি ও চাপ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যর মাধ্যমেও।ঘটনার প্রোগেস দেখে মনে হচ্ছে এ্যাসান্জ শীঘ্রই এ্যারেস্ট হবেন এবং যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উইকিলিকসের এই এডিটর ইন চিফ কে প্রেরণ করবে। উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তিসংক্রান্ত আইনে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকস ওয়েবসাইটে আফগানিস্তান ও ইরাকের যুদ্ধ সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন এবং আড়াই লাখের বেশি মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তার এক বিশাল ভান্ডার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও প্রশাসনের মুখোশ খুলে ফেলেছেন।গোপন তথ্য প্রকাশের দায়ে কোনো প্রকাশকের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর এই জঘন্য সম্মিলিত দমন-পীড়নের এত দীর্ঘ ইতিহাস সত্যিই বিরল।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রথম কাজ ছিল ইরাকে মার্কিন সেনাদের দ্বারা সংঘটিত একটি হত্যাকান্ড। ২০০৭ সালে বাগদাদে একটি মার্কিন অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের ককপিট থেকে তোলা ৩৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও ফুটেজ। ফুটেজটি মার্কিন সেনাদেরই তোলা, এতে দেখানো হয়েছে মার্কিন সেনাদের হাতে রয়টারের দুজন সাংবাদিকসহ ১৮ জন বেসামরিক মানুষ হত্যার দৃশ্য। ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ ও সম্পাদনা করে তিনি তৈরি করলেন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র, যার নাম দিলেন কোল্যাটারাল মার্ডার। তিনি সেটি ছাড়লেন অনলাইনে, এবং এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করলেন যেনো কেউ প্রামাণ্যচিত্রটি সরিয়ে ফেলতে না পারে।

এই ঘটনায় হৈ চৈ পড়ে গেল সারা দুনিয়া জুড়ে। ঘুম হারাম হয়ে পড়লো মার্কিন প্রসাশনের সামরিক ও গোয়েন্দা ব্যাক্তিদের। খোঁজা খুঁজি শুরু হলো জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের। ২০০৮ সালে মার্কিন আর্মি কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সেন্টার এক গোপন সামরিক প্রতিবেদন তৈরি করে, যেখানে বলা হয়, উইকিলিকস হচ্ছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য এক মারাত্মক হুমকি। গোপন সূত্রে এ্যাসান্জ প্রতিবেদনটি হাতে পেয়ে যান এবং তখনই বুঝে নেন, প্রতিবেদনটি উইকিলিকসের বিরুদ্ধে এক যুদ্ধের ঘোষণাপত্র। হ্যাঁ, এই যুদ্ধটি শেষ করে ফেলতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র আর তাতে বাতাস দিচ্ছে ঐ দেশটির চামচা যুক্তরাজ্য ও এমনকি এ্যাসান্জ এর জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ার সরকারও।

আজকের এ পৃথিবীতে চলমান নানা অন্যায়, মিথ্যা এবং জুলুমের বিরুদ্ধে একজন জুলিয়ান এ্যাসান্জ কত বিশাল মাপের এক মহানায়কের অবয়ব কিম্বা একুশ শতকের এ পৃথিবীর জন্য তিনি কি পরিমাণ প্রয়োজনীয় এক প্রোপিপল্ লোভহীন সুপার মেধাবী মানুষ - পৃথিবীর কোটি কোটি আত্মকেন্দ্রিক লিলিপুটদের তা বোধের অতীত।

জুলিয়ান এ্যাসান্জের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ধ্বংস হোক। অবাধ তথ্য প্রবাহ, মুক্তচিন্তার জয় হোক। এ পৃথিবী মানুষের হোক।

লেখক: সাংবাদিক

(ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়