সাইদ রিপন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপিদের দাবির প্রেক্ষিতে সারাদেশে প্রায় দুই ‘শ’ সরকারি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। যদিও ২০০টি সরকারি কলেজ উন্নয়নের জন্য এক হাজার ৮০৬ কোটি টাকা অর্থ ছাড়ের সরকারি অর্ডার (জিও) অপেক্ষমাণ রয়েছে। এজন্যই আগামী রোববার (২৯ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক এসব প্রকল্প জনগণের সন্তুষ্টির জন্য নেয়া হলেও বছর না ঘুরতেই আবার সংশোধন করা হবে। যদিও সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায়ই এসব কাজ হচ্ছে। তবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে যেন সম্পদের অপচয় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় মসজিদ-মন্দিরসহ সামাজিক, ধর্মীয় ও খেলাধুলা বিষয়ক অবকাঠামোও নির্মাণ করা হবে। এজন্য ৬৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে গৃহীত মেগাপ্রকল্পে ২৩ হাজার কোটি টাকার কাজ করবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)। তাছাড়া তিন হাজার নতুন ভবন এবং তিন হাজার ২৫০টি ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্র্রসারণে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের যেমন সৃজনশীল চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে, তেমনি আর্থ-সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করে। কিন্তু দেশে সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি যুব সমাজের আগ্রহ কম। এ প্রবণতা রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে লোপ পাওয়ার সাথে সাথে গবেষণার মানও নিম্ন হবে।
প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ হবে। বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে সরকারি কলেজগুলোতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ তাই এটি অনুমোদনের একনেকে উপস্থাপন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :