জাফরুল আলম : অসহ্য গরমে একদিকে রাজধানীবাসী যেমন হাঁপিয়ে উঠেছিলো। হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে যেভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, এতে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবার কথা। বরাবরের মতো তেমনটাই ধারণা ক্রেতাদের। কিন্তু টানা বৃষ্টিতেও রাজধানীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় গড়ে প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরান ঢাকার নারিন্দা কাঁচাবাজার, কলতাবাজার, দয়াগঞ্জ কাঁচাবাজার ও খুচরা ভ্যানে সবজি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা যায়। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পটলের দাম ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, শসা ১৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা। এছাড়া বেগুনের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ভে-ি ৪০, বরবটি ৩৫ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, মুলার দাম ১০ টাকা কমে ২০ টাকা হয়েছে।
অন্যান্য সবজির মধ্যে পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া আলু মান অনুযায়ী ১৮ থেকে ২২ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি আকার অনুযায়ী ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। আর কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা। আকারভেদে প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৪০ থেকে ৬০, কচুর ছড়া ৩০ থেকে ৪০ এবং লেবুর সাইজ অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৫ টাকা। কাঁচকলা ১৫ থেকে ২৫ টাকা, ধনিয়া পাতার আটির দাম রাখছেন ১০ থেকে ২০ টাকা। গরুর মাংস ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সরকারের নির্ধারিত দামেই। এদিকে দেশি মুরগি, ব্রয়লার মুরগি ও কক মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির সাথে পাল্লা দিয়ে মাছের দামও আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে ক্রেতারা জানালেন।
কথা হয় দয়াগঞ্জ বাজারে আগত এক ক্রেতার সাথে। রায়হান নামের উক্ত ক্রেতা বলেন, ‘গত ক’দিন আগেও যে সব সবজির দাম চড়া ছিলো। আগের তুলনায় তা দামে কম পাচ্ছি। ভেবেছিলাম রাজধানীতে যেভাবে চারিদিকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। কিন্তু সেই তুলনায় দাম কম বলেই জানান তিনি।’ আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এখন সাবজির দাম কিছুটা সহনীয় থাকলে কী হবে! তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জিনিসপত্রের দাম তো আর স্থায়ী থাকে না। হুট করে বেড়ে যায় জিনিসপত্রের দাম। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের খুব কষ্ট হয়।’ বাজারে সবজির দাম উঠানামার বিষয়ে খুচরা বিক্রেতাদের বক্তব্য হলো, ‘পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা যেভাবে সবজিপণ্য ক্রয় করে খুচরা বাজারে নিয়ে আসবো। সেই অনুযায়ীই আমরা বিক্রি করবো। বিক্রির দাম নির্ধারণে আমাদের হাত নেই।’
আপনার মতামত লিখুন :