শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০১৮, ১০:০৫ দুপুর
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০১৮, ১০:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হুমায়ূন আহমেদ কেন জনপ্রিয়

সালেহা চৌধুরী : হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে, চলে যাওয়ার দিনে, কেউ কখনও আমাকে কিছু লিখতে বলেনি। তিনি 'রূপা' নামের বইটি আমাকে উৎসর্গ করে লিখেছিলেন- সালেহা চৌধুরী আমার গুটিকয় খুব কাছের মানুষের একজন। আজ তার চলে যাওয়ার মাসে আমি একটু কিছু বলতে চাই।

জন স্টেইনবেকের 'মানুষ ও ইঁদুর' তাকে উৎসর্গ করেছিলাম। কারণ জন স্টেইনবেক আমাদের দু'জনেরই প্রিয় লেখক। আমি লন্ডনে চলে গেছি। ঢাকার বাড়িতে ফোন করে আমার কেয়ারটেকারকে বলেন- সালেহা চৌধুরী কোথায়? তিনি লন্ডনে। উত্তর শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলেছিলেন- তাকে বলবেন, আমার নুহাশপল্লীর দরজা ওর জন্য খোলা। যখন মনে হবে যাবেন।

হুমায়ূন আহমেদের সেই নুহাশের বাগান? আহা যারা দেখেছে, মুগ্ধ হয়েছে। আমিও। যত তাকে দেখেছি অভিভূত হয়েছি। প্রায় বইতে রুনু নামের যে মেয়েটি বারবার আসে, সে আমার ডাক নাম। তখন ঢাকা ইউনিভার্সিটির বাসায় থাকি আমরা। ছোট ননদ ইতি ছুটতে ছুটতে এসে বলেছিল, 'নন্দিত নরকে' সালেহার ডাক নাম রুনু। আপনি কি ওকে চেনেন! ঘটনা অবশ্যই কাকতালীয়। কিন্তু তখনই হৃদয়ের ভেতর তার আসন পাকা হলো। এখনও তিনি চিরদিনের বন্ধুর মতো হৃদয়ের গভীরে বিরাজ করেন। পথে বা জার্নিতে আমি সবসময় বেছে নিই তাকে। দ্রুত সময় পার হয়ে যায়।

তাকে নিয়ে আমার পোস্ট এডিটোরিয়ালে লেখা এ প্রবন্ধ নয়, বিস্তারিত লেখাও নয়। সেটা অন্যত্র লেখা যাবে। এবার আমি সংক্ষেপে বলছি, আমার মতে তার জনপ্রিয়তার কারণগুলো-

১. ভাষা সহজ। পাঠকের বোঝার ক্ষমতার ওপর খুব বেশি দাবি নেই। ভাষার কচকচানি নয় বরং তাকে সহজ করে, স্বাদু করে, হাসির আলো ফেলে পাঠককে মোহাবিষ্ট করা।

২. আমাদের চারপাশের মানুষের চালচিত্র। মনে হয় এসব মানুষ আসলে আমরা কিংবা আমাদের প্রতিবেশী কিংব এমন একজন, যাদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে। যে বড়লোকের কথা তাদেরও আমরা চিনি। তাদের বসার ঘর, জীবনযাপন সবকিছুই চেনা।

৩. বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত জীবন। চেনামুখ, চেনা সংসার। এসব মানুষ যারা রাতে কোনো কোনোদিন দু'বার ভাত খাওয়াকে উৎসব মনে করে। একজন অতিথি আসবে বলে বিয়ের শাড়ি পরে অপেক্ষা করেন একজন নারী। কারণ? এ ছাড়া তার আর কোনো ভালো শাড়ি নেই। এরপরও আমরা বলব হুমায়ূন আহমেদ দুঃখ বোঝেন না? দুঃখ বোঝাতে কেবল ফরিদার 'ফিকব্যথা' ওঠার কথা বলে থেমে যান। যা শুনে আমার ফিকব্যথা ওঠে।

৪. ছোট বই। খুব বেশি পাঠকের সময় কেড়ে নেয় না। যেমন নাদিন গর্ডিমার বলেন- আমাদের বর্তমান জীবনে সময় খুব কম; কাজেই আমি বলতে ভালোবাসি, আসলে এই যুগ ছোটগল্পের যুগ। ছোট বইয়ের যুগ। এক নিঃশ্বাসে পড়া যায় একবারও হাত থেকে না নামিয়ে (যারা বড় বই লেখেন, আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ছোট বইয়ের পাঠক)।

৫. পৃথিবীর বিখ্যাত ছোট বইগুলোর কথা এই প্রসঙ্গে মনে করা যেতে পারে। 'ওল্ডম্যান অ্যান্ড দি সি', 'স্নো গুজ', 'পাসটোরাল সিল্ফম্ফনি', 'দি অ্যানিমাল ফার্ম'. 'গীতাঞ্জলি', 'দি প্রফেট'. আঁদ্রে জিদের 'দি ইমমরালিস্ট', 'দুই বোন' ও 'মালঞ্চ'। এমনি নানা সব বই। 'গুড থিঙ্ক অলওয়েজ কামস ইন এ স্মল প্যাকেট'। না, আমি তাকে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তুলনা করছি না। তবে তিনি যে এসব লিখে নোবেল পেতে পারতেন সে ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। দুঃখের বিষয়, মৃত মানুষকে নোবেল দেওয়া বাতিল হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তার 'নন্দিত নরকে' বা 'অচিনপুরের কথা' মনে করা যেতে পারে কিংবা আরও অনেক বই। 'আয়না ঘরের' সেই রহস্যের কথা আমরা কী করে ভুলে যাব?

৬. বড় বইগুলো লিখে তিনি ভালোই করেছেন। মনে হয় না লিখলে পাঠক ভাবত, বড় বই তিনি লিখতেই পারেন না। উপরোক্ত কারণে বড় বইগুলোও সুখপাঠ্য।

৭. সবচেয়ে বড় ঘটনা- তার অনাবিল 'সেন্স অফ হিউমার'। আমাদের এই দুঃখকষ্টের জীবনে কিছুক্ষণ আমরা ফুরফুরে নিমগাছের বাতাস খাই। ঠোঁটের হাসি বজায় থাকে। 'এ পেন দ্যাট কান মেক ইউ স্মাইল ইজ দ্য স্ট্রংগেস্ট পেন অব অল।' পশ্চিমের সাহিত্য বিচারের এই বাণীর হিসাবে তার কলম আমাদের সবার চাইতে শক্তিশালী। কিন্তু অনেকেই এই 'সেন্স অফ হিউমার'-এর কথা লেখেন না। পশ্চিমে একেই সবচেয়ে বড় গুণ বলে মনে করা হয়। 'জীবনযাপন' গল্পের শেষে আমি কাঁদি। 'আমি ভিজে গেছি সিগারেট ভেজেনি' পড়তে পড়তে। সে গল্পেই সারাক্ষণ হাসতে থাকি আমরা। বিনু যখন তার বেশি বয়সে স্বামী প্রসঙ্গে বলে- বেশি বয়সী স্বামীই ভালো। চ্যাংড়া স্বামী আমার পছন্দ হয় না। কথা শুনে মনে হলো, বিনুর আগে কতগুলো কম বয়সী স্বামী ছিল।

৮. মিডিয়া তাকে সাহায্য করেছে। বিশেষত টেলিভিশনে তার নাটকগুলো। অসাধারণ নাট্যক্ষমতা। আমি তো মনে করি, তিনি নিজেই পাতা বাঁশির জাদুকর। সামান্য জিনিস থেকে কীভাবে তিনি আনন্দ সৃষ্টি করেন। তিনি মিডিয়াকে জয় করেছেন। মিডিয়া তাকে ছাড়েনি। জয় করার জন্য যে শক্তি বা ক্ষমতার দরকার, সেটা তার ছিল।

৯. অতিপ্রাকৃত গল্পের মাস্টার তিনি। এ জিনিস বড়দেরও কতটা আনন্দ দিতে পারে, তার প্রমাণ তার লেখা অসংখ্য অতিপ্রাকৃত গল্প। কেবল ভূত নয় আরও কত কিছু। মিসির আলী এবং আরও নানা সব ঘটনা। আমি তাকে ভালোবেসে ২০টি অতিপ্রাকৃত গল্প দিয়ে একটি বই করছি। অনেক তার শোনা। পছন্দ করেছিলেন। পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি এ বিষয়ে আমাদের পথিকৃৎ।

১০. বেশ কিছু দুর্লভ সিনেমা সৃষ্টি। 'ঘেঁটুপুত্র কমলা'র সাহসিকতা আমাকে বাকরুদ্ধ করেছে। এ হয়তো হাওরাঞ্চল থেকে চলে গেছে; কিন্তু সারা পৃথিবীতে 'চাইল্ড পর্নো' আজকের দিনের একটি ভয়াবহ সমস্যা। নানা সব আইন পাস করেও যা ঠেকানো যাচ্ছে না। আবার শাপলা বা পদ্মদিঘি বা বৃষ্টির ঘটনার যেসব চিত্র ক্যামেরায় শিল্প সৃষ্টি করেছে, কে তাকে ভুলে যাবে। যখন কুসুম একা নৌকায় বসে থাকে, সে সৌন্দর্যের কি কোনো তুলনা আছে? এই অসাধারণ সৌন্দর্যবোধ তাকে নুহাশপল্লী বানাতে সাহায্য করেছে। সেসব বাগানে আর দিঘির নৌকা দেখে আমার কান্না পেয়েছে। 'আসলে সৌন্দর্যই আমাকে অশ্রুসিক্ত করে আর মানবতা'- এ কোনজনের কোটেশন বা বাণী ঠিক মনে করতে পারছি না।

১১. বই ব্যবসাকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন তিনি। একজন লিখিয়ে যে নিজেই একটা বই ইন্ডাস্ট্রি হয়ে যায়, সেটা কে কবে ভেবেছিল। তিনি দোকানের শোভা হয়ে থেকেছেন চিরকাল। লন্ডনের সঙ্গীতার এক তাক বইয়ের সামনে যখন দাঁড়াতাম, আমার চোখ ভিজে যেত। যার তলায় রাখা ছিল আমাদের বই। দোকানের মালিক আমারই মতো ভেজা চোখে বলেছিলেন- আপা, স্যার তো চলে গেলেন। আমরা দু'জন কেউ কথা বলতে পারিনি। দোকানটা নেই। এখন আর ওখানে গিয়ে সেই আশ্চর্য অনুভবে সজল হয়ে ওঠা হয় না। এই কারণে আমাকে ব্রিক লেনে যেতে ইচ্ছা করে না।

১২. সাহিত্য করতে গিয়ে যেসব অলঙ্কার শাস্ত্র অনেক সময় লেখায় চলে আসে, তিনি মোটামুটি সেসব থেকে মুক্ত। সাধারণ পাঠক পায় মুক্তির স্বাদ। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বলে একটা সোজা-সাপটা বা স্ট্রেট ফরোয়ার্ড ব্যাপার ছিল তার। আমাকে বলতেন- ভাষা সহজ করতে হবে। জটিল ভাষার সময় শেষ। তার সঙ্গে ভালোমতো আলাপ হওয়ার পর আমার লেখার ভাষা সহজ হয়ে গেছে।

১৩. অশ্নীল বলতে আমরা যা বুঝি সেসব ছিল না। লীলাবতির কিছু আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারই তার সাহিত্য জীবনের বোধ করি সবচেয়ে অশ্নীল ব্যাপার (এটি আমার মত)। কাজেই পাঠক ধরার কাজটি করতে ওই পথে পা বাড়াননি তিনি। সুড়সুড়ি দিয়ে যৌন চেতনা জাগিয়ে দেননি। বলেছিলাম- কী ব্যাপার? নর-নারীর এসব ব্যাপার আপনি পরিহার করেছেন মনে হয়। মেয়েটি ব্লাউজের বোতাম লাগাল আর ছেলেটা সিগারেট খেতে লাগল- শেষ! তিনি কেবল হা হা করে হেসেছিলেন। উত্তর দেননি। কাজেই পাঠক তাকে পছন্দ করেছে তার রচনা কৌশলে, চরিত্র-চিত্রনে বা ঘটনার নিপুণতায়, হাসির সুড়সুড়িতে, অন্য কোনো কারণে নয়। আমার মনে হয় না, তিনি কোনোদিন 'লেডি চ্যাটার্লিস লাভার' লিখতে চাইবেন।

১৪. চমৎকার কিছু ছোটগল্প। 'জীবনযাপন' গল্পের শেষ অংশ- 'আমি ভিজে গেছি আমার সিগারেট ভেজেনি'র কথা আগেই বলেছি। এ অংশটুকু কেন আমাকে অশ্রুসিক্ত করে বলতে পারি না কিংবা সেই উলঙ্গ লোকটি মুক্তিযুদ্ধের দিনে যাকে পাকিস্তানি বাহিনী উলঙ্গ করেছে; কিন্তু সেই মানুষ যখন মাথা সোজা করে দাঁড়ায়, তখন তার মাথা কি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায় না? সব মুক্তিযোদ্ধার মাথাই কি সেদিন আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়নি?

১৫. তার স্টাইল তার নিজস্ব। এটি কারও পক্ষে নিজের করে নেওয়া সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। এই শৈলী তার জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ।

১৬. কিছু অনবদ্য চরিত্র সৃষ্টি। মিসির আলির প্রজ্ঞা ও রহস্যময়তা আর হিমুর সরলতা। 'মিসির আলি সমগ্র' আমাকে ক্লান্তিহীনভাবে ঢাকা থেকে লন্ডন নিয়ে গিয়েছিল। বই থেকে যখন চোখ তুলেছি, তখন লন্ডন নামার সংকেত এসে গেছে। এমনি করে পাঠক ধরে রাখার জাদুকর আর কয়জন হতে পারেন। ফিরে এসে টেক্সট করে বলেছিলাম- এই দীর্ঘ যাত্রা বুঝতেই পারিনি। কারণ আপনার মিসির আলি। তিনি কেবল উত্তরে লিখেছিলেন- থ্যাংক য়ু। আমার এক চুপচাপ জন্মদিনে বইটি তিনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন।

১৭. তার ভ্রমণকাহিনী অনাবিল আনন্দের। আমি খুব মন দিয়ে পড়ি। সেখানে নিজের মানুষদের নিয়ে মজা করেন। নিজেকে নিয়েও। নিজেকে নিয়ে মজা করার ব্যাপারটি বারবার এসেছে।

১৮. তার লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় বই- 'আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই'। এটি গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী এসবের ক্যাটাগরিতে পড়ে না। যে পাঠক এর স্বাদ চাখেননি তাকে চাখতে অনুরোধ করি। অনেককে পড়িয়েছি। যারা পড়ার পর বলেছেন- এই বইয়ের কথা তো আমি জানতান না। বলেছি- পড়ার পর ফেরত চাই। এখনও আমার শেলফের রেহেলে বইটি সযতনে রাখা আছে। আশা করছি, প্রকাশক নতুন করে এবার বইটি ছাপাবেন বা ছাপিয়েছেন।

আমার মতামতের সঙ্গে সবাই একমত হবেন, আমি মনে করি না। কারণ আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। যিনি হবেন না- আই বেগ টু ডিফার। ঝগড়া নয়। 'লেটস অ্যাগরি টু ডিসঅ্যাগরি।'

আমার লন্ডনের এক চিলতে বাগানখানি আমি তাকে উৎসর্গ করেছি। তার বাগান করার কথা ভেবে। ঈশ্বরের যে বাগান শেষ হয়নি, সেখানে তিনি চলে গেছেন। আমাদের মতো ঈশ্বরেরও তাকে দরকার আছে। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করি। আসলে আমি তাকে প্রতিদিন স্মরণ করি। তিনি আমাকে কী দিয়েছেন? কিছু না। কেবল নীরবে বলেছেন- আই ডু কেয়ার অ্যাবাউট ইউ। আমি বোকা। কিছুই বাগিয়ে নিতে পারিনি।

সূত্র : সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়