ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলার ১০নং ভাকুর্তা ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার ইয়াসিনের ছেলের সঙ্গে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীর বিয়েতে বাধা দেয়ায় উল্টো হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন হাবিবুর রহমান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। ওই মেম্বার তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে জমিও দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর জুন মাসে ইয়াসিনের বড় ছেলে মামুনের সঙ্গে স্থানীয় শ্যামলাপুর হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী উর্মি জুঁইয়ের সঙ্গে গোপনে মৌলভী দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। পরে অন্তস্বত্তা হওয়ায় মাস খানেক তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। গত সপ্তাহে তার অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় গোপনে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে সেখান থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।
স্থানীয় কাজী নজরুল ইসলাম বিয়ে প্রসঙ্গে জানান, জুঁইয়ের সাথে মামুনের বিয়ে পড়ানোর আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কিন্তু কিশোরী মেয়ে হওয়ায় বিয়ে পড়াতে রাজী হননি বলে জানান তিনি।
শ্যামলপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী জানান, উর্মি জুঁই ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। অপ্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থাতেই ইয়াসিন মেম্বারের ছোট ছেলে মামুনের সাথে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। যা প্রচলিত আইন বিরোধী।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. সালাউদ্দিন জানান, এই বিয়েতে বাধা দেয়ায় তার জমি দখল করে নেয় ইয়াসিন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ ও জিডি করেও কোন প্রতিকার পাননি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন ও আদালতের রায় তার পক্ষে থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের দৌড়াত্মে তিনি পৈতৃক সম্পত্তির দখলে যেতে পারছেন না। এছাড়া বাল্য তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মেম্বার মো. ইয়াসিন জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। হয়তো বিপক্ষে থাকা লোকজনদের অপকর্মে বাধা দেয়ায় তারা এমন অভিযোগ করেছেন। তবে তার ছেলে মামুনের সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীর বিয়ের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :