শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১১:১৭ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১১:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাদকদ্রব্যের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিশেষ আদালত স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনাধীন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আনিসুর রহমান তপন : মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিশেষ আদালত স্থাপনের বিষয়টি আমাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন অর্থাৎ তৃতীয় দিনের পঞ্চম কার্যদিবসে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল। আলোচনায় বিভাগীয় কমিশনার ও সব ডিসিরা অংশ নেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী রয়েছে। ডিসিদের এমন প্রস্তাবের বিপরীতে বলেছি, দেশে জঙ্গী উত্থানের পর পরই সারাদেশে মাদকের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা গেছে। সরকার এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়ায় কারাগারগুলোতে বন্দীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।

এসব আসামীদের বিচার কার্য দ্রুত শেষ করে যাতে কারাগারে পাঠানো যায় তার জন্য তাদের (ডিসি) সহায়তা চেয়েছি। তাছাড়া মাদক নির্মূলে আরো বেশি মোবাইল কোর্ট চালানোর জন্য ডিসিদের বলা হয়েছে। এতে মাদক মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যম অপরাধীদের কারাগারে পাঠানো সম্ভব হয়।

এছাড়াও আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
এদিকে নতুন মাদক হিসেবে o-Morphon (Oxymorphon Hydrochloride) কে চিন্হিত করে তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ তে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।

প্রস্তাবে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে দিনাজপুরসহ সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে ফেনসিডিলের পরিবর্তে O-Morphon (Oxymorphon Hydrochloride) নামক মাদকের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ তে উক্ত মাদক সম্পর্কিত কোনো বিধান নেই। ফলে এর বিরুদ্ধে কোনো আইনী ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ নং টেবিলে উক্ত মাদকদ্রব্যকে তফসিলভূক্ত করে শাস্তির বিধান রাখার সুপারিশ করেন ডিসি।
এছাড়াও সুরক্ষা সেবা বিভাগ সম্পর্কিত আলোচনায় দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২৯০ এবং বঙ্গীয় প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৯৬৭ এর ৪ ধারা সংশোধন করে শাস্তির পরিমান বাড়ানের সুপারিশ করেন রংপুরের ডিসি। তাছাড়া প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মাদকদ্রব্য টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন, সারাদেশে ডুবুরির সংখ্যা বৃদ্ধিসহ প্রত্যেক জেলা কারাগারে মাদকাসক্তদের জন্য আলাদা নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে সীমান্ত সুরক্ষায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার জন্য ডিসিদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে স্থল সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি এবং কোষ্টাল সীমান্ত রক্ষায় কোষ্টগার্ডের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিন আরও বলেন কাঁটা তারের বেড়ার পরিবর্তে সরকার সীমান্ত সড়ক নির্মানের পাশাপাশি সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্টে সেন্সর বসানোর চিন্তা ভাবনা করছে। ইতিমধ্যে বেনাপোল সীমান্তে এই সেন্সর স্থাপনের মাধ্যমে পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে আসাুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটা সফল হলে পুরো সীমান্ত জুরে এই সেন্সর সিস্টেম স্থাপন করা হবে। তাছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সম্পর্কিত বিষয়াবলীর আলোচনায় সারাদেশের সকল জেলা থেকে ইস্যুকরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের সকল তথ্য একটি জাতীয় অনলাইন ডাটাবেজ সংরক্ষণ করার প্রস্তাব দিয়ছেন গাজীপুরের ডিসি। প্রস্তাবের সপক্ষে তিনি বলেন, ভিন্ন জেলা থেকে ইস্যুকরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আরেক জেলায় নবায়ন করার সময় লাইসেন্সের সঠিকতা/মেয়াদ যাচাই করা প্রয়োজন বিধায় এর সকল তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি জাতীয় অনলাইন ডাটাবেজ তৈরীর প্রস্তাব করেন ডিসি।

এছাড়াও ভাষানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরে সরকারের সিদ্ধান্ত থাকায় এখানে একটি থানা, দুটি তদন্ত কেন্দ্র ও একটি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের সুপারিশ করেন নোয়াখালীর ডিসি।

বৈঠকে ফায়ার সার্ভিসের ক্ষমতা ও স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো ও ডুবুরি দলের জনবল বাড়ানোর জন্য মাঠ প্রশাসনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার ম্যান ও ডুবুরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু কিছু উপজেলায় আদালতে মামলা থাকায় এবং সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে জমির প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় সব উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তাই এ বিষয়টাতে ডিসিরা যাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন সেটা তাদের দেখতে বলেছি।

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে কামাল বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে যাতে ভাটাররা ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চত করতে বলেছি। এজন্য যখন যেখানে যেভাবে পুলিশ এবং লজিস্টিক সাপোর্টসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়েজন হবে তা ডিসিদের দেয়া হবে। তাই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ করার জন্য ডিসিদের যা দায়িত্ব তা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে যেনো পালন করেন তা করার জন্য বলেছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়