শাহানুজ্জামান টিটু : লালমোহন উপজেলায় আওয়ামী লীগের শ্লোগান ‘একটা দুটো বিএনপি ধরো সকাল বিকাল নাস্তা করো’। এই উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে মানবতার জীবন যাপন করছে। সেখানে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমি ছয়বারের এমপি আমি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারিনি এসব অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা হচ্ছে ভোলা জেলার লালমোহন এবং তজিমুদ্দিন থানা। বাংরাদেশে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। লালমোহন উপজেলায় আওয়ামী লীগের একটি সন্ত্রাসীবাহিনী আছে। বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যারা বিএনপি করে তাদেরকে আগামী ছয় মাসের জন্য এলাকা ছাড়তে হবে না হলে তাদের হাতপা গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বেলা ১২টার দিকে আমাদেও প্রার্থীর এজেন্টরা ভোট কেন্দ্রে গেলে তাদেরকে প্রিসাইটিং অফিসার থেকে শুরু করে র্যাব পুলিশ, মাজিস্ট্রেট তাদের কাছে অভিযোগ করে প্রার্থীর এজেন্ট হওয়া সত্বেও কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কোনো প্রতিকার করা হয়নি। সবাই বলেছে দেখছি। তজিমুদ্দিনের ৩৩ ভোট কেন্দ্রেগুলো ছিলো শশানের মত।
তিনি বলেন, বিএনপি ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছে। এমন একটি নিবার্চন কমিশন বসে আছে এই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের কোনো দাবি নেই।
হাফিজ উদ্দীন বলেন, গতকাল তজিমুদ্দিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনিবার্চন হয়েছে। সেখানে ব্যতিক্রম একটি নিবার্চন হয়েছে জনগণ এই ভোট বয়কট করেছে। ভোট কেন্দ্রে ভোটার যাননি। কোনো নিবার্চন কেন্দ্রে একটা লাইন ছিলো না। একজন মহিলাও ভোট দিতে যাননি। কিন্তু আমাদের কাছে প্রমান আছে যার মৃত্যুর কারণে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক পাটোয়ারি ও কাশেম পাটোয়ারি তারাও ভোট দিয়েছেন। এলাকায় যত জীবিত মৃত ব্যক্তি রয়েছে তারাও ভোট দিয়েছে। সেখানে ভোট গণনা দেখানো হয়েছে ৭৭ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সর্মথকরা ও ভোট কেন্দ্র যায়নি। নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে শত শত বহিরাগত পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে এসে বিএনপি সর্মথকদের বাড়ি বাড়ি হামলা করে এবং তাদেরকে এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের দুদিন আগে কয়েক হাজার মটর সাইকেলের বহর নিয়ে তজিমুদ্দিনে প্রবেশ করে এবং বিএনপি কর্মীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়া সাধারণ ভোটার উদ্দেশ্যে বলে ভোট কেন্দ্রে গেলে দেখিয়ে দেব।
নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম সরোয়ারের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। কপাট ভেঙেএজেন্টের কাগজপত্র নিয়ে চলে যায়। যুবদল সভাপতি কামরুলের বাড়ি ভাঙচুর, সহ সভাপতি রেজাউল মেম্বররের বাড়িতে রাতে হামলা করে এজেন্টেদেও কাগজপত্র আইডি কার্ড নিয়ে যায়।
নিবার্চন এখন আর আওয়ামী লীগের করা লাগে না। সরকারের ডিসি এসপি ও প্রশাসনের লোকেরা এখন নৌকার পক্ষে দলীয় কর্মীর মত ভোটের কাজ করছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধিনে নিবাচন করে কোনো লাভ বরং আন্দোলনে যাওয়ায় বিএনপির উচিত বলে মনে করি।
আপনার মতামত লিখুন :