তরিকুল ইসলাম সুমন: কোরবানির পশুর হাটে কেউ যাকে প্রভাব খাটিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, হাটে যে পশুগুলো আসবে সেগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। নিরাপদ ও সুন্দর স্বাস্থ্যের পশুগুলো যাতে কোরবানির জন্য যেতে পারে। কোথাও কেউ যেন মার্কেটের ওপর প্রভাবে ফেলতে না পারে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকই মূলত এটা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমাদের কর্মকর্তারাও থাকবে। তাদের সহায়তা দিয়ে এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলা হয়েছে। কোরবানির জন্য প্রয়োজন থেকেও বেশি পশু আছে। ফলে এটা নিয়ে দুঃচিন্তার কোনো কারণ নেই, ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখতে পারলেই কোরবানি সুন্দরভাবে পালন করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, আগে স্টেরয়েড ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করা হতো। এসব মাংস মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, এ দিক থেকে সন্দেহমুক্ত থাকতে পারেন। প্রতিটি গরুতে না হলেও আমাদের হিসাবের মধ্যে যারা রয়েছে সেখানে গরুর দৈনন্দিন খাবার কী, সেটাও আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি করছেন। গরুর খাদ্যের বিকল্প যে পথ দেখানো হয়েছে, সেই পথে মোটাতাজা হচ্ছে।
আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ইলিশ মাছ হারিয়ে যাচ্ছিলো, সেটাকে উদ্ধার করা গেছে। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি ওঠে এসেছে। তাদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা চেয়েছি, মূলত মাঠে কাজ করতে গেলে তাদের সহযোগিতা একান্ত দরকার। তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দাবিও জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। যখন মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয় তখন গরিব মৎস্যজীবীদের যে সহায়তা দেয়া হয় (ভিজিএফ) সেটাকে যেন পূর্ণভাবে দেয়া যায় এবং ৪০ কেজি করেই দেয়া যায়, তারা সেই প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরাও সেটাকে নীতিগতভাবে মেনে নিয়েছি, কিন্তু বরাদ্দটা যেহেতু ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আসে সেখানে আমরা এটা দাবি করবো।
সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের ডিসি মানসম্মত চিংড়ি মাছের পোনার সরবরাহের কথা মৎস্যমন্ত্রীকে জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, পোনা অবমুক্তের ব্যাপারে ডিসিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পোনা কেনার জন্য যে টাকা পাঠাই সেটা চলে যায় ইউএনও বরাবর। ওই ক্রয় কমিটির সভাপতি হচ্ছেন ইউএনও, জেলা কমিটির সভাপতি ডিসি সাহেব। সে জন্য ডিসি সাহেবদের বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন টাকাটা যাতে শতভাগ ব্যবহার করা হয়। এ জন্য এই টাকা দিয়ে পোনা কিনে যাতে ছাড়া হয় তা ডিসি সাহেব ইউএনও’র মাধ্যমে নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :