তরিকুল ইসলাম সুমন: স্থানীয় নদী দখল ও দূষণ রোধে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়েছে- ইতোপূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা নদীগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আমরা নদী খননের কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দেড় হাজার কিলোমিটার নদীপথ খননের কাজ শেষ করেছি। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে, অনেকগুলো নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ এবং নাব্যতা সৃষ্টির নামে নদীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। তাই অবৈধভাবে যাতে বালু উত্তোলন না হয়। সেজন্য নদী দূষণ মুক্ত করার জন্য, দখল মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের দায়িত্ব দিলাম। একই সঙ্গে তাদেরকে এ বিষয়টা বললাম যে, সচেতনতাই হচ্ছে মূল বিষয়। মানুষকে আমরা যে বিষয়ে সচেতন করতে পারব মানুষ সেই কাজটি করতে পারবে। মানুষের মধ্যে মূল চেতনাটাকে যে উদ্ধুদ্ধ করার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ কাজটি করার জন্য বিভিন্ন জেলায় নদীর পাড়ে সীমানা নির্ধারণ করা, নদীর পাড়ে জনসমাবেশ করা, কালচারাল ফাংশন এবং সেখানে মানববন্ধন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করা, যাতে নদী দখল ও দূষণ না হতে পারে। নদী মানুষের প্রাণ, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা। সেই দিক থেকে নদীকে কীভাবে রক্ষা করা যাবে। একই সঙ্গে ডিসিদের যে সমস্যাগুলো জানানো হয়েছে সেগুলো সমাধানে ব্যবস্থা নেবেন।
নদী দখল ও দূষণের বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা কী বলেছেন ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দখল-দূষণের সঙ্গে কারা জড়িত আপনিও জানেন, আমিও জানি, ওনারাও জানেন। যতবড় প্রভাবশালী লোক হোক না কেন, আপনি ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। যত প্রভাবশালী হোক, সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী তো কেউ হতে পারে না।
আপনার মতামত লিখুন :