শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ০১:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের নির্বাচন ও উপমহাদেশের স্থিতিশীলতা

ওয়ালিউর রহমান: ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। এমন যে সবাই সক্রিয় রাজনীতি করে। কিংবা করার চেষ্টা করে। সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে তারা যুক্ত না থাকলেও রাজনীতিটা তাদের জন্য অনেকটা প্রাত্যহিক কাজের মতোই হয়ে দাঁড়িয়ে। যার ফলে যেকোনো নির্বাচনে একটা বিপুল আয়োজন, আগ্রহ ও অংশগ্রহণ থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে নির্বাচন এলে একটা উৎসব উৎসব ভাব আসে। আসে অংশগ্রহণ ও বর্জনের বিষয়টিও। বাংলাদেশের কথাই যদি ধরি, যেকোনো নির্বাচনে মানুষের বিপুল আগ্রহ অন্য এক মাত্রা দেয় নির্বাচনি সংস্কৃতিকে। মানুষ এখন আগের মতো মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ না করলেও রাজনীতি থেমে নেই। সেটি ঘর-কিংবা বাইরে। অফিস-আদালত, চায়ের দোকান। রাস্তা-ঘাট প্রায় সবখানে রাজনীতি চর্চা হয়। সেটা সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা থেকে কর্মী-সমর্থক। সাধারণ মানুষ তো আছেই।

এ বছরেই সম্ভাব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নিয়ে রাজনীতি চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের ঘুচিয়ে নিচ্ছে। প্রস্তুতি ও প্রয়োরিটি দিয়ে কাজ করছে। তারও ্আগে এখন চলছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো। সেখানে মানুষের অংশগ্রহণ উল্লেখ করার মতো। খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পর এখন রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে নির্বাচনি হাওয়া। উৎসব উৎসব ভাব। ব্যস্ত সবাই সেই নির্বাচন নিয়ে।

বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন নির্বাচন চলছে, জাতীয় নির্বাচনও খুব সন্নিকটে। অন্যদিকে নির্বাচন হয়ে গেল পাকিস্তানেও। সেখানে সাধারণ নির্বাচন হয়ে গেল। এখানে বিজয়ী কে হলেন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী কাকে সমর্থন দেয়। সেনাবাহিনী কার সঙ্গে থাকে। সেনাবাহিনীর সমর্থন ছাড়া দেশ শাসন করা খুবই দুরূহ। পাকিস্তানের ইতিহাস তাই বলে। প্রায় অর্ধ শব্দাদি বিভিন্ন সময় দেশটি সরাসরি সেনাবাহিনী দেশটি চালিয়েছে। বেসামরিক শাসক বা শাসন প্রশাসন থাকলেও নীতিনির্ধারণ একরকম তাদের সঙ্গে সমঝোতা করেই হয়। এর ব্যতিক্রম কিছু করতে গেলে ক্ষমতায় হারাতে হয়। সেটি নওয়াজ শরীফের বেলায় দেখেছি। এটা একটা বড় সমস্যা। কারণ এতে গণতন্ত্র স্থিতিশীল হয় না। গণতন্ত্র থেকে অনেকটা দূরে সরে যায় যেকোনো দেশ।

পাকিস্তানের পূর্ব ইতিহাস যে স্বৈরশাসনের তা তো নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে দেশটির এ বেহাল অবস্থা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি। গণতন্ত্র না থাকলে দেশটির এখন যে বেহাল অবস্থা তা আরও খারাপ হবে যদি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের সুফল মানুষের পৌঁছে দেওয়ার জন্যই পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা দরকার। নতুন সরকার যারাই গঠন করুক নিজেদের মতো করে রাষ্ট্র পরিচালনা করুক, যেখানে কোনো সেনা হস্তক্ষেপ থাকবে না। উদারনৈতিক কূটনীতি চর্চা হোক। স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়ার স্বার্থে তা খুব জরুরি।
লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়