লিহান লিমা: দাম্পত্যে অসুখী হলেও হাসিমুখে করতে হবে সংসার, এমনই নির্দেশ দিল ব্রিটেনে ওরচেস্টায়ারশারের আদালত। সেখানকার বাসিন্দা টিনি ওয়েনস (৬৮) ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনে একঘেয়েমির অভিযোগ এনে সঙ্গী হেগ ওয়েনেসের (৮০) সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু আদালত সুপ্রিমকোর্ট তা নাকচ করে দিয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের পরিবার বিষয়ক আদালতের পাঁচজন বিচারক রায় দিয়েছেন তাকে তার স্বামীর সঙ্গেই থাকতে হবে। টিনির মতে, তাদের দাম্পত্য জীবনে কোন ভালবাসা নেই এবং তাদের মানসিক সম্পর্ক ভেঙ্গে গিয়েছে। তিনি আরো বলেন, হেগ অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করেন তাই তিনি মনে করেন না বৈবাহিক জীবন অতিবাহিত করার আর কোন কারণ আছে।
কিন্তু হেগ বিচ্ছেদে রাজি হতে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, তার ব্যবহারের বিষয়ে টিনির অভিযোগ সত্য নয়। তিনি আরো বলেন, তাদের বিয়ে ভাঙ্গার যদি কোন কারণ থেকে তাকে তবে তা টিনির বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক অথবা টিনি এই সম্পর্কে একঘেয়েমি বোধ করছেন।
এই সময় হেগ আরো বলেন, ২০১২ সালে টিনি বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলো কিন্তু আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবেছি।
১৯৭৮ সালে বিয়ে করা এই দম্পতি মাশরুম চাষ করে মিলিওনার হয়েছেন। ২০১৫ সালে টিনি বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত ব্যবহার’ এই অভিযোগে বিয়ে বিচ্ছেদ করা যায় না। আমাদের পক্ষে আইন পরিবর্তন সম্ভব না। তবে টিনি এই রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবৈধভাবে বিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে।’ অন্যদিকে এই মামলা ইংল্যান্ড এবং ্ওয়েলস এর বিচ্ছেদ বিষয়ক আইন পরিবর্তন ও সংস্কারের বিষয়কে জোরালোভাবে তুলে ধরছে।
আপনার মতামত লিখুন :