আদম মালেক : কৃষি ঋণ কার্যক্রম অধিকতর সম্প্রসারণে লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ‘এজেন্ট ব্যাংকিং’-এর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কৃষি ঋণে এজেন্ট ব্যাংকিং পদ্ধতিকে উৎসাহ প্রদানপূবর্ক ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা’ ঘোষণা করা হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এজেন্ট ব্যাংকিং গাইডলাইন্স প্রবর্তন করা হয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি দেশের সর্বত্র কৃষি ঋণ কার্যক্রমে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এ নীতির আওতায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ব্যাংকসমূহ এজেন্ট বুথের মাধ্যমে ঋণের আবেদনপত্র গ্রহণ,প্রাথমিকভাবে যাছাই-বাছাইকরণ,কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ এবং ঋণ গ্রহিতার নিকট হতে ঋণের কিস্তি আদায় করা যাবে। তবে ঋণ আবেদন প্রক্রিয়াকরণ,ঋণ মঞ্জুরি এবং ঋণের প্রয়োজনীয় তদারকি ব্যাংক কর্তৃক সম্পন্ন হবে। এক্ষেত্রে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণসহ সামগ্রিকভাবে ব্যাংকের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ শস্য/ফসল খাতে বিতরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংককে সচেষ্ট থাকতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়,এজেন্টদের কমিশন বা সার্ভিস চার্জ বাবদ গ্রাহকের নিকট হতে নির্ধারিত সুদহারের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ০.৫০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায় করা যাবে। এই চার্জ ব্যাতীত গ্রাহকের নিকট হতে অন্য কোনো ফি বা চার্জ আদায় করা যাবে না। এই সার্ভিস চার্জ ব্যাংক কর্তৃক কর্তনের মাধ্যমে এজেন্টের হিসাব প্রদান করতে হবে। এজেন্ট সরাসরি ঋণ গ্রহিতার নিকট হতে সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবে না। এই ব্যবস্থায় কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের বিবরণী প্রতি তিন মাস অন্তর পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক যে কোনো সময় ব্যাংক সমূহের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :