লিহান লিমা: পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পূর্বের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের রেকর্ড রয়েছে। এ বছর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বেশিরভাগ প্রার্থীই সন্ত্রাসী থেকে রাজনীতিবিদ বনে গিয়ে নির্বাচনী প্রার্থী হয়েছেন, চরমপন্থী ধর্মীয় গোষ্ঠির সঙ্গে জড়িত এই প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে আরো প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই নির্বাচনে অংশ নেয়া মোট ১২ হাজার প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৫০০’র ও বেশি প্রার্থীই চরমপন্থী আদর্শকে ধারণ করেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পশ্চিমাবিরোধী এবং জোরপূর্বক ধর্মীয় আইন চাপিয়ে দেয়াকে সমর্থন করেন (শরীয়া)। মিল্লি মুসলীম লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ২৬০ জন প্রার্থী, যার নেতা ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত, এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল।
[caption id="attachment_619864" align="aligncenter" width="500"] মুম্বাই জঙ্গিহানা’ খ্যাত জামাত-উদ দাওয়া’র প্রধান হাফিজ সৈয়দ। তার ছেলে এবং জামাই এই নির্বাচনে লড়ছে।[/caption]
চরমপন্থী দল আহল এ সুন্নত জামাল এর প্রায় ১২ জনের মত প্রার্থী ভিন্ন নামে দাঁড়িয়েছেন। এই দলটিকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। এদের ওপর পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়াদের ওপর হামলার অভিযোগ আছে। এদিকে ৫৬৬ জন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন তেহরিক ই তালেবানের পক্ষ থেকে, এই চরমপন্থী গোষ্ঠিটি ব্লাসফেমি আইনের কট্টর সমর্থক এবং ধর্মবিরোধী কোন মন্তব্যের জন্য মৃত্যুদ-ের দাবি জানিয়ে থাকে। এই গোষ্ঠিগুলোর নেতা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ আছে।
যদিও বুধবারের ভোটে মূল লড়াইটা হবে পাকিস্তান মুসলীম লীগ নওয়াজের নওয়াজ শরীফ, পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খানের মধ্যে। এক্সপ্রেস.ইউকে।
আপনার মতামত লিখুন :