শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১০:১৫ দুপুর
আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১০:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কয়লা খনির ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা

সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ইয়ার্ডে মজুদ কয়লার বড় ধরনের গড়মিল ধরা পড়ার ঘটনায় অবশেষে বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ১৯ জনকে বিবাদী করে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২৪ জুলাই রাতে দায়ের করা (মামলা নং ৩০) মামলার বাদি খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।

দায়ের করা মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয় ২০০৫ সালের আগে থেকে খনি উন্নয়নকালীন রোডওয়ে ডেভেলপমেন্টের সময় স্বল্প পরিমাণ কয়লা উৎপাদিত হয়। উত্তোলিত কয়লা থেকে সে সময় কিছু বিক্রিও করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়। এসময় পূর্বের মজুদ কয়লার সাথে উৎপাদিত কয়লার পরিমাণ যোগ করে কয়লা মজুদের ধারাবাহিকতা ধরা হয়। চলতি বছরে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২ দশমিক ৩৩ মে.টন কয়লা উৎপাদিত হয়।

উৎপাদিত কয়লা থেকে পাশের তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৯ দশমিক ২৯ মে.টন কয়লা সরবরাহ করা হয়। বেসরকারী ক্রেতাদের নিকট ডিও (ডেলিভারী ওর্ডার) এর মাধ্যমে ৩৩ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ দশমিক ৩৭ মে.টন কয়লা বিক্রি করা হয়। বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর বয়লারে ১২ হাজার ৮৮ দশমিক ২৭ মে.টন কয়লা ব্যবহার করা হয়। কয়লার উৎপাদন, ব্যবহার ও বিক্রি হিসাব করলে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কয়লা খনির ইয়ার্ডে রেকর্ড ভিত্তিক মজুদ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মে.টন।

কিন্তু উল্লেখিত তারিখ (১৯ জুলাই) পর্যন্ত বাস্তবে মজুদ ছিলো মাত্র ৩ হাজার মে.টন। এতে কয়লার ঘাটতি ধরা পড়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মে.টন। ঘাটতি কয়লার আনুমানিক মূূল্য প্রায় ২৩০ কোটি টাকা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়লার ঘাটতি/চুরির এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে জড়িত সন্দেহে তাৎক্ষণিকভাবে মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নূর-উজ-জামান চৌধুরী, উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ডিপার্টমেন্ট) একেএম খালেদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ এবং কোম্পানি সচিব/মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোঃ আবুল কাশেম প্রধানিয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এছাড়াও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাযসে সংঘটিত কয়লা চুরির সংশ্লিষ্টতায় আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা হলেন, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মোশারফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স এন্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন কন্সট্রাকশন এন্ড মেইনটেন্যান্স) জাহিদুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক (সেইফটি-ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং-ম্যানেজমেন্ট) খলিলুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স এন্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহিদুর রহমান ও সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন।

মামলাটি দায়ের করা হয়েছে দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং ৪০৯ ধারা অনুযায়ী। এব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার তদন্ত (ওসি)(মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। তবে তদন্তের জন্য মামলার কাগজপত্র দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুরের কাছে ইতিমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কয়লা কেলেংকারী ঘটনা ধরা পড়ার পরে সারা দেশব্যাপি তোলপাড় হওয়ার ৫ দিনের মাথায় খনি কর্তৃপক্ষ এ মামলাটি দায়ের করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়