এল আর বাদল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শুরুতে টেস্টে যে দলটিকে মনে হয়েছে আড়ষ্ট, দুর্বল-ভাঙ্গাচোরা। সেই দলটিই গত রোববার গায়ানার প্রোভিডেন্সে ছিলো একদম অন্যরকম। নির্ভীক, সাহসী, উদ্যমী। ভালো খেলায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থেকেই সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাাদেশ দল।
তারপরও অনেকে হয়ত বলবে, মাঝে-মধ্যে একে ওকে হারালেও টেস্টে বাংলাদেশ কখনোই ভালো দল নয়। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে টাইগাররা বরাবরই জুবুথুবু। অনুজ্জ্বল। আর ওয়ানডেতে সেই দলেরই ভিন্ন চেহারা। বেশ কিছুদিন ধরেই ৫০ ওভারের ফরম্যাটে মোটামুটি ভালো দলের তকমা গায়ে আঁটা। একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট হয়ে গেছে নিজেদের নামের পাশে।
সেখানে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির অবশ্যই একটা বড় ভূমিকা আছে। অবদানও আছে। তাই বলে, তার কারণেই একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো দল, তার স্পর্শেই ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং- তিন শাখাতেই উজ্জ্বল- তা মানতে আপত্তি কারো কারো।
যে যাই বলুক, মাশরাফির শারীরিক উপস্থিতি পাল্টে দেয় বাংলাদেশ দলকে। তার উপস্থিতিতে বদলে যায় পুরো একটি দল। শরীরি ভাষাটাই বদলে যায়, হয়ে ওঠে অন্যরকম। সতীর্খরা সবাই চাঙ্গা। ফুরফুরে মেজাজে। নির্ভার। ভালো খেলতে এবং জিততে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজও টাইগার সেনারা নিজেদের সেরাটা দিয়ে বাংলাদেশকে সিরিজ এনে দেবে, এমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় খেলা শুরু হবে। ইতোমধ্যে তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে আছে মাশরাফিরা। আজ জিতলেই বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জয় করবে সিরিজ।
দলপতি মাশরাফি গতকাল১ সাংবাদিকদের জানান, স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতা অতোটা সহজ নয়, তবে সবাই যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তাহলে ম্যাচ জেতা খুব কষ্টের নয়। আমরা আগামীকালও (আজ) সেরাটা উজার করে খেলবো।
আপনার মতামত লিখুন :