হ্যাপী আক্তার : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য দিনরাত গণসংযোগের পাশাপাশি অনলাইন প্রচারও চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেটের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সাইবার টিম। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে ভোটের আহ্বান। কিন্তু অনলাইনে প্রচারে নির্বাচন কমিশনের নজরদারি না থাকায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ ভোটারদের। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্বাচন কর্মকর্তা ।
অনলাইনে সক্রিয় সিলেটে সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা। গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সাইবার টিম। ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ ও ইউটিউবের মাধ্যমে চলছে প্রচার। ভোটারদের সামনে নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তুলে ধরছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দোষত্রুটি। আর এই কাজে অনেক প্রার্থী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ ভোটারদের।
অনলাইনে প্রচার নিয়ে ভোটারা বলছেন, একজন প্রার্থীর যে কুৎসা রটানোর যে বিষয়টি তারা একক জন একেকভাবে কাট-ছাট করে অনলাইনের ফুটেজগুলো প্রচার করছে।
অনলাইনে নির্বাচনি প্রচারে আচরণবিধি মানা হচ্ছে না। বলে অভিযোগ বিশিষ্টজনদেরও। তারা বলছেন, ডিজিটাল প্লাটফর্মেও নির্বাচন কমিশনের নজরদারি প্রয়োজন।
সিলেট, সুজনের সাধারণ সম্পাদক শাহ শাহেদা আক্তার বলেছেন, অনলাইন বা অফলাইন যাইক হোক এতে যনি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্গণ হয়ে থাকে, তাহলে আমরাও দাবি জানাব আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সিলেট, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি সুদিপ্ত চৌধুরী বলেছেন, প্রার্থী যারা নির্বাচনের অংশগ্রহণ করছেন তার যদি বিশৃঙ্খলা না ঘটিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেন সেক্ষেত্রে প্রশাসন বা যারা দায়িত্বে আছেন তারা সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারে বিধিনিষেধের কথা জানালেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
সিলেট, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুখলেছুর রহমান বলেছেন, ইউটিউব, ফেসবুক বা টুইটারের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানু আইনগতভাবে অবৈধ। তারপরেও যদি কেউ করে তাহলে সে বিষয়কে কোনো ধরনের অভিযোগ আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর ১শো ২৭ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সূত্র : ইনডিপেনন্ডেট টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :