আশিক রহমান : বড় পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা উধাও অদক্ষতার ফল বলে মনে করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বড় পুকুরিয়া খনির কয়লা উধাও অদক্ষতার ফলে হয়েছে। এখানে বড় ধরনের চুরি হয়েছে বা কয়লা খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মনে করি না আমি। যখন খনির কোল ইয়ার্ড থেকে কয়লাগুলো নেওয়া হয় এর মধ্যে ১০ শতাংশের মতো পানি থাকে। কয়লাগুলো যখন মাটির উপর রাখে, রোদে শুকানোর পর সেসব বিক্রি করা হয়। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বা বাইরে তা বিক্রি করে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৫ থেকে লাখ লাখ টন কয়লা উঠেছে। চাইনিজ কোম্পানি দিয়ে সেই কয়লা সরকার কিনেছে। আমার সন্দেহ হয়, বিগত ১২-১৩ বছরের ভেজা ও শুকনা কয়লার হিসাবের মধ্যে মধ্যে একটা গরমিল আছে। যে পরিমাণ কয়লা নেই বলা হচ্ছে তা বড় পুকুরিয়া থেকে নিয়ে আসার জন্য ১৫- ২০ হাজারের মতো ট্রাক লাগে। এই বিপুল পরিমাণ ট্রাক কোথায় গেলে, কোথা থেকে এলো তা আমার কাছে মনে হয় এটা একটা ভৌতিক ব্যাপার। আমার মনে হয়, মার্কেটিং ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্তদের অদক্ষতার কারণেই হয়তো এমনটি হয়েছে।
তিনি বলেন, ১০ বছরে যে পরিমাণ কয়লার পানি উড়ে গেছ সেই হিসাবটা ধরলে বোঝা যাবে প্রকৃতপক্ষে ঘটনা কী ঘটেছে। তবে অভিযোগের বিষয়টি খতিতে দেখতে হবে। ভালো তদন্তও করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :