কায়কোবাদ মিলন: যুক্তরাজ্যের নাগরিক সন্দেহভাজন দুই আইএসএস সদস্যকে ফাঁসি দিতে অনাপত্তির কথা জানানোর পর বৃটেন জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে । যুক্তরাষ্ট্র এই ফাঁসি কার্যকর করবে । বৃটেন জুড়ে সমালোচনার পাশাপাশি সেখানকার মানবাধিকার সংগঠণগুলোও এই ফাঁসি কার্যকরের বিরুদ্ধে সোচ্চার । বৃটেনের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর যুক্তি,৫৩ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে যেখানে মৃত্যুদ- বন্ধ , সেখানে তারা কি করে নিজ দেশের নাগরিকদের আমেরিকার জল্লাদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছে ।
যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস সোমবার সংসদে বলেন , ফাঁসির ব্যাপারে তারা যে আপত্তি দিয়ে রেখেছিলেন ,তা তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন । যে দুই বৃটিশ নাগরিকের ফাসিঁ হচ্ছে তারা হলেন,আলেকজা-া কোটেও ও শাফি আল শেখ । যুক্তরাজ্যের ওই মন্ত্রীকে তার সহকর্মী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের একটি চিঠির ব্যাপারে উত্তর দিতে গিয়ে ্্্উল্লেখিত তথ্য দিতে হয় ।
সাজিদ মার্কিণ এটর্ণি জেনারেলকে চিঠি দিয়ে বলেছেন ফাঁসি দিতে তাদের কোন আপত্তি নেই । কিন্তু সেই চিঠিটি ফাস হয়ে গেলে যুক্তরাজ্য জুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায় । উল্লেখ্য ১৯৬৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে মৃত্যুদ- বন্ধ ।
উল্লেখিত দুই আইএসএসসহ মোট ৪ জন ইরাকে আটক হন । তারা সাংবাদিক জেমস ফলি, সল্টলফসহ ২জন বৃটিশ ত্রাণ কর্মীর কথিত হত্যাকারি । এদিকে মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন সরকারকে বুঝতে হবে, যুক্তরাজ্য মৃত্যদ- আবার চালু করেনি ।
এদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরাও মৃত্যুদ-ের ঘোর বিরোধী । নিহত সাংবাদিকের মা ডায়ানে ফলি আগে বলেছিলেন, তার ছেলের ঘাতক হলেও তিনি মৃত্যদ-ের বিরোধী । এখন তিনি বলছেন, তার ছেলের ঘাতক আমৃত্যু জেলে পচুক সেটাই তিনি দেখতে চান । আলজাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :