শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ১১:৩৯ দুপুর
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ১১:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভিযানের মধ্যেও রাজধানীতে ঢুকছে ইয়াবা, মুঠোফোনে চলছে ব্যবসা

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যেও রাজধানীতে বিভিন্ন পন্থায় ইয়াবা ঢুকছে। আর এসব আসছে মিয়ানমার সীমান্ত থেকেই। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ার পর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

জেনেভা ক্যাম্পের এক মাদক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পঁচিশ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর সকলেই গা ঢাকা দিয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। দু’একজন বাইরে থেকে মুঠোফোনে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শিয়া মসজিদ সংলঘ্ন বস্তিতে রায়হান, কুট্টি, কাইল্লা নামের তিন মাদক ব্যবসায়ী এখনো সক্রিয় রয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন পেমার আড়ালে চলছে তাদের মাদক কারবার।

জানা গেছে, প্রশাসনের এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে ঢাকায় আনা হচ্ছে ইয়াবা। মিয়ানমার সীমান্তের ৩৭ টি কারখানা থেকে গড়ে ৩০ লাখ ইয়াবা আনা হচ্ছে। সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ছোট-বড় ইয়াবার চালান ধরাও পড়ছে। তবে মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় মাদক পাচার বন্ধ হচ্ছে না।

সূত্র জানায়, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেও নাফ নদী ও সাগরপথে বাংলাদেশে ঢুকছে ইয়াবার চালান। এ অভিযানে আত্মগোপনে যাওয়া টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও ফিরতে শুরু করেছেন। ফিরেই আবার ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেছেন তারা। জল পথেই টেকনাফ থেকে ৩২ জেলায় এসব ইয়াবার চালান সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। পান-সুপারি-লবণবোঝাই ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ইয়াবা ডুকছে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড ওয়াস্টে-ইট আর্মির অধীনে বর্তমানে ১৩টি, কাসির ডিপ্ন্যাস আর্মির অধীনে ১০টি, পানসে ক্যা-ম্যা ইয়ন মলিয়ান গ্রুপের অধীনে ২টি, পুলিশ এক্স হলি ট্রেক গ্রুপের অধীনে ১টি, ম্যানটাং মিলেটিয়ার অধীনে ৩টি, ইয়ানজু গ্রুপের অধীনে ১টি, এসএনপিএলর অধীনে ৬টি, এমএনডিএ’র অধীনে ১টি ইয়াবা তৈরির কারখানা পরিচালিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ূয়া বলেন, নাফ নদী ও সাগরে অভিযান চালানোর সক্ষমতা পুলিশের নেই। যে কারনে এখনো ইয়াবার চালান আসছে। তবে স্থলপথে ইয়াবাসহ পাচারকারীকে আটক করছে পুলিশ। আগের চেয়ে ইয়াবা পাচার অনেক কমে গেছে বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়