মুহাম্মদ নাঈম: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা না করার জন্য ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা জোরালো ছিল না। ছাত্রলীগের উপর প্রধানমন্ত্রীর কতটা নিয়ন্ত্রন আছে তা জানা নাই। যার কারণে ছাত্রলীগ কর্মীরা বারবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও শিক্ষকদের উপর হামলা করে আসছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে আলাপকালে বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. অজয় রায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক। ছাত্রলীগ কর্মীরা ভেবেই নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিবে আর আমরা আমাদের কাজ করেই যাবো। আইনের শাসনের প্রচুর অভাব আছে। বিচারহীনতার নামে অপসংস্কৃতি চলছে। এ ধরণের পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভালোভাবে চলছে না। বিশেষ করে সাধারণ ছাত্রদের উপরে শক্তি প্রয়োগ অত্যন্ত নিন্দনীয়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে বেশ কয়েকবার শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি ও ছাত্রলীগের আক্রমণ করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদেরকে গ্রেফতার না করে যারা আন্দোলনে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা দিয়েছে। ছাত্রদের উপর যে নির্যাতন ও নিপীড়ন করা হয়েছে, এর প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষকরা। তারাও ছাড় পায়নি ছাত্রলীগের আক্রমণ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কত শতাংশ কোটা সংস্কার করা হবে, এটা পরিস্কারভাবে উল্লেখ থাকাটা জরুরি ছিল কিন্তু তা উল্লেখ ছিল না। যত কালক্ষেপণ করবেন সমস্যা ততই জটিল হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ কোটা বাতিলের পক্ষে আমি নই। সারা বাংলাদেশ, তথা উত্তরবঙ্গ, সিলেট, বরিশাল জেলা পর্যন্ত যে অঞ্চলগুলো আছে। এসব অঞ্চলের মানুষ সমানভাবে শিক্ষিত এবং সুবিধাভোগী নয়। কিছু কিছু সংরক্ষণ, বিশেষ করে আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া মানুয়ের জন্য কোটার প্রয়োজন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাদের তো অবশ্যই সংরক্ষণ কোটা থাকা প্রয়োজন, তাদের অগ্রগতি এবং উন্নতির জন্য।
আপনার মতামত লিখুন :