শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৪৬ সকাল
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী জোরালো নির্দেশ দেননি’

মুহাম্মদ নাঈম: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা না করার জন্য ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা জোরালো ছিল না। ছাত্রলীগের উপর প্রধানমন্ত্রীর কতটা নিয়ন্ত্রন আছে তা জানা নাই। যার কারণে ছাত্রলীগ কর্মীরা বারবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও শিক্ষকদের উপর হামলা করে আসছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে আলাপকালে বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. অজয় রায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক। ছাত্রলীগ কর্মীরা ভেবেই নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিবে আর আমরা আমাদের কাজ করেই যাবো। আইনের শাসনের প্রচুর অভাব আছে। বিচারহীনতার নামে অপসংস্কৃতি চলছে। এ ধরণের পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভালোভাবে চলছে না। বিশেষ করে সাধারণ ছাত্রদের উপরে শক্তি প্রয়োগ অত্যন্ত নিন্দনীয়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে বেশ কয়েকবার শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি ও ছাত্রলীগের আক্রমণ করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদেরকে গ্রেফতার না করে যারা আন্দোলনে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা দিয়েছে। ছাত্রদের উপর যে নির্যাতন ও নিপীড়ন করা হয়েছে, এর প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষকরা। তারাও ছাড় পায়নি ছাত্রলীগের আক্রমণ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কত শতাংশ কোটা সংস্কার করা হবে, এটা পরিস্কারভাবে উল্লেখ থাকাটা জরুরি ছিল কিন্তু তা উল্লেখ ছিল না। যত কালক্ষেপণ করবেন সমস্যা ততই জটিল হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ কোটা বাতিলের পক্ষে আমি নই। সারা বাংলাদেশ, তথা উত্তরবঙ্গ, সিলেট, বরিশাল জেলা পর্যন্ত যে অঞ্চলগুলো আছে। এসব অঞ্চলের মানুষ সমানভাবে শিক্ষিত এবং সুবিধাভোগী নয়। কিছু কিছু সংরক্ষণ, বিশেষ করে আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া মানুয়ের জন্য কোটার প্রয়োজন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাদের তো অবশ্যই সংরক্ষণ কোটা থাকা প্রয়োজন, তাদের অগ্রগতি এবং উন্নতির জন্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়