শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ০৭:০৪ সকাল
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ০৭:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজশাহীতে বিএনপি-জামায়াত মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব

ডেস্ক রিপোর্ট : নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। রাজশাহীবাসী অপেক্ষা করছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। বড় দুই দলের প্রার্থী এবং নেতাকর্মীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন ভোট যুদ্ধে। নৌকার প্রার্থী লিটনের পক্ষে দলীয় শতভাগ সমর্থন থাকলেও বিএনপির বুলবুলের পক্ষে নেতাদের অনেককে দেখা যাচ্ছে না। যদিও বিএনপি প্রার্থী শুরু থেকেই বলে আসছেন তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রচারণায় নামতে বাধা দেয়া হচ্ছে। অপর দিকে বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াত নির্বাচনে বুলবুলের পক্ষে মাঠে নেই।
এনিয়ে বিশ দলের সমর্থকদের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই গুঞ্জনকে কাজে লাগিয়ে নৌকার প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন।

জামায়াতের একাধিক নেতা বলেন, জাতীয় ভাবেই বিএনপি নিজের থেকেই দূরত্ব তৈরি করেছে। তাদের জন্য কোথাও বিএনপি ছাড়ের মনমানসিকতা দেখায় নি। বিশেষ করে সিলেট সিটির রেশ ধরেই জামায়াত কর্মীরা রাজশাহীতে নীরবতা পালন করছেন। তবে তাদের ভোট প্রদান নিয়ে স্পষ্ট কিছু এখনো বলা যাচ্ছে না। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জোটের শরিকদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তাদের ভোট ধানের শীষের বাইরে যাবে না। তার পরেও জোটের শরিকদের প্রকাশ্য এই দূরত্ব সাধারণ ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলছে।

রাজশাহীতে জামায়াত কাউন্সিলর পদে মোট ১৬ জনকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করেছে। এর মধ্যে সাধারণ ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪ জন এবং ১০ সংরক্ষিত মহিলা আসনে তাদের দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে জামায়াত বিএনপিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মেয়রপদে যদি তাদের সমর্থন আশা করে তাহলে কাউন্সিলর পদে বিএনপিকে ১৪ ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করতে হবে। শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলর পদে বিএনপি জামায়াতের শর্ত রাখেনি। তাদের প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিষয়গুলো নিয়ে জামায়াত-বিএনপির মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। তাতে কোনো সমঝোতা হয়নি। জামায়াত তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট করা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। মেয়র নির্বাচন নিয়ে কোনো কথাই বলছে না।

এদিকে তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতের নেতাকর্মীদের পুলিশ গণহারে গ্রেপ্তার করছে। গতকাল পর্যন্ত জামায়াতের দায়িত্বশীল কমপক্ষে ৩০ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তারা এখন জেলে আছেন। এসব নেতার মধ্যে ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারি থানা আমীর থানা সেক্রটারি পদের নেতাই বেশি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর জামায়াতের প্রভাবশালী একজন নেতা বলেন, ২০ দলের শরিক হিসেবে জামায়াতের ভোট ধানের শীষের প্রতীকে যাবে। আমাদের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ এনে নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকানো হচ্ছে। এই পর্যন্ত সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানান এই জামায়াত নেতা। তিনি আরো জানান, প্রকাশ্যে জামায়াত বিএনপির পক্ষে কাজ করছে না এটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। তাদের ভোট ধানের শীষেই দেয়া হবে।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের দূরত্ব নেই। নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। পুলিশের বাধার কারণে তারা মাঠে কাজ করতে পারছে না। পুলিশি হয়রানি বন্ধ করলেই জামায়াতের কর্মীরা তার পক্ষে মাঠে কাজ করবেন বলে জানান। অপর দিকে তিনি আরো বলেন, দলীয় সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মাইকিং করতে বাধা প্রদান করছে। এই অবস্থায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই নয় অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ বাহিনীর সদস্যও তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিএনপির সকল কাজে বাধা প্রদান করছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের দিন কি হবে তা সকলেই বুঝতে পারছে।

সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কালো টাকা ছড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কালো টাকা যতই ছড়াক না কেন নির্বাচনে ধানের শীষের ভোটের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। বর্তমান সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, নির্যাতন, খুন, গুম ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় রাজশাহীর জনগণ বর্তমান সরকারের প্রতি অনাস্থা এনেছে। এই অবস্থা দেখে সরকারদলীয় প্রার্থীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। হতাশাগ্রস্ত হওয়ায় এখন ধানের শীষের প্রচারণায় বোমা নিক্ষেপ করছে।

নির্বাচন একতরফা করার জন্য নীলনকশা আঁকছে। জীবন দিয়েও হলেও এই নীলনকশা বিএনপির নেতাকর্মীরা বাস্তবায়ন করতে দেবে না। সরকার দলীয় প্রার্থী শহরের যত নামকরা ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আছে তাদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। তাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছে। সরকারদলীয় প্রার্থী বিজয়ী হলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়