শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ১১:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ১১:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে এখন বর্ষা মৌসুম

নুরুল আনোয়ার: দেশে এখন বর্ষা মৌসুম। থেমে থেমে ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকাসহ সমগ্র দেশে। দুই ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরের বেশির ভাগ এলাকা হাঁটুপানির নিচে ডুবে যায়, কোনো কোনো এলাকায় বুক সমান পানিও জমে। এই হঠাৎ বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার জন্য প্রতিবছর নতুন ‘নালা’ তৈরি করা হয়, পুরনো নালাগুলোও সিমেন্টের ঢালাই করা, বৃহৎ পাইপ দিয়ে প্রশস্ত করা হচ্ছে। লাগাতর এ কাজ চলছে। ফলাফল জলমগ্ন সড়ক, ঘরবাড়ি, দোকানপাট। দ্রুত পানি অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষের বা মন্ত্রণালয়ের কোনো গরজ আছে এমন তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। অথচ ফি-বছর কোটি কোটি টাকার শ্রাদ্ধ হচ্ছে। ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু করা হয় এমন সময়, যখন পূর্ণ বর্ষায় রাস্তা পরিণত হয় মিনি খালে। ফলে নর্দমার পানি, বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে সড়ক পরিণত হয় নরকে। জনগণের কষ্টের বিষয়টি হচ্ছে এই যে নালাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার সংস্থা কোনটি? সত্যি যদি কোনো মন্ত্রণালয় থাকত, কোনো মন্ত্রী বাহাদুর থাকতেন, বিষয়টি তাঁদের দৃষ্টিতে হয়তো আসত। পত্রিকায়, টিভি সংবাদে, ইউটিউবে ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তায় বৃষ্টির পর ঢেউ তোলা পানি দেখি, দেখি রিকশা কাত হয়ে যাত্রীদের পানিতে পড়ে নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে। কোমর সমান পানিতে ছাত্র-ছাত্রী, অফিসগামী যাত্রীদের অভিনব পদচারণা বা টম-জেরির খেলা। বৃষ্টির পর ড্রেন থেকে ময়লা, বালু মাটি ইত্যাদি ওঠানো হয়; কিন্তু সেই আবর্জনা না সরিয়ে ড্রেনের পাড়েই রাখা হয়। বৃষ্টিতে আবার সেই ময়লা ড্রেনে প্রবেশ করে রাস্তাকে সয়লাব করে। পরিষ্কার করা বাবদ লাখ লাখ টাকা উপার্জনের একটা স্থায়ী ব্যবস্থা এটা। আবার রাস্তার পানি ড্রেনে যাওয়ার জন্য লোহার নেটের জালি কিছুদূর পর পর বসানো থাকে, সেগুলোর মুখও পলিব্যাগ ও গাছের পাতা, খড়কুটা পড়ে মুখ বন্ধ করে রাখে, যা পরিষ্কার রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এই সহজ ব্যবস্থাগুলো নেওয়া যেতে পারেÑ
১. শুষ্ক মৌসুমে ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু করে শেষ করা এবং রাস্তা কার্পেটিং সম্পন্ন করা। ২. ড্রেন পরিষ্কারের আবর্জনা সঙ্গে সঙ্গে অন্যত্র অপসারণ করা। ৩. বৃষ্টির পানি সড়ক থেকে ড্রেনে যাওয়ার জালির মুখগুলো অবিরাম পরিষ্কার রাখা। ৪. কোথাও যদি পাম্প মেশিন দিয়ে পানি সরানো সম্ভব হয়, তবে তা করা। ৫. পানি সরে গেলে খানাখন্দগুলো দ্রুত মেরামত করা। ৬. জলাবদ্ধতার সময় সড়কে বড় বড় খানাখন্দ কোনো কিছু দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া।
পরিচিতি : সাবেক আইজিপি/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়