সজিব খান: ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরদিন উদ্ধারকৃত জিম্মিদের মধ্যে রহস্যজনক আচরণের কারণে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর হামলায় হাসনাত করিমের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল বলেও অভিযোগ ওঠেছিল।
সোমবার এই মামলায় ২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়া হয়। তবে এই চার্জশিটে নাম নেই হাসনাত করিমের।
চার্জশিটে দেওয়া ২১ জন অভিযুক্তর মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিজানেই নিহত হয়েছেন। এছাড়া জীবিত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে ও ২ জন পলাতক রয়েছেন। দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ওই বছরের ৩ আগস্ট হাসনাত করিমকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ৪ আগস্ট প্রথম দফায় তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৩ আগস্ট হলি আর্টিজান মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২৪ আগস্ট এ মামলায় গ্রেফতার হাসনাত করিমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :