এ কে এম শফিকুল ইসলাম: চলতি অর্থ বছরে প্রবাসি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার। মন্ত্রাণালয় সূত্র জানান, ২০১৭ সালে প্রবাসে ১১ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে গেলও এবারও এই বছরে বাংলাদেশি প্রবাসে যাবে ১৩ লাখ। একারণে ও নানা প্রতিবন্ধকতার পরও ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এর আশা করছে বাংলাদেশ। গেলে বছর রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশি বিদেশে গেলেও কমেছে আয়। তাই বৈধ পথে প্রবাসিদের টাকা পাঠাতে প্রয়োজন সরকারি প্রণোদনা।
মধ্য দুপুরেও মরুভূমির বালুচরের মত নয়, তবু প্রচণ্ড গরমের মধ্য ঠাণ্ডা পানির জন্য নুরজাহান পাশের বাসার মমতাজ কাছে জান। মমতাজ গত মাসে বিদেশ থেকে এসেছেন। বিদেশ থেকে এসে ফ্রিজ কিনেছেন মমতাজ।
নুরজাহান ও মমতাজদের মত মহিলারা বিদেশ গিয়ে অর্থ আয় করছে। আর দেশের রেমিটেন্স এর হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নুরজাহান বলেন, দুই বছরে আয় করেছেন চার লাখ টাকা। বিদেশে গিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাও পাঠিয়েছেন।দেনা পরিশোধ করেছেন এবং পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা করছে।
মমতাজ আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশ গেলাম এবং কাজ করে আবার দেশে ফিরে এলাম।কিন্তু আমার বাংলাদেশি আপার সাথে কথা বলি টাকা এসেছে? আপা বলেন, এসেছে তবেই বুঝতে পারি টাকা পেয়েছে। বিদেশে ঝুঁকি এড়িয়ে কীভাবে বিদেশ যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশ যায় তারা সকলে সমানভাবে দক্ষ নয়। তাই প্রতি মাসে যে টাকা পাঠায় তার পরিমাণ সামান্য যেমন দশ, পনেরো, বিশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই রেমিটেন্স যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির খাতায়। নারায়ণগঞ্জের বন্দরের দুই নারী উন্নয়ন করেছেন পুরুষের মতই।যদিও বছর জুড়ে পুরুষের টাকা পাঠানো হয় নারীর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এক কোটির বেশি প্রবাসি গত বছর ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। ২০১২ তে প্রবাসি আয় ১৪শ ৬০ কোটি টাকা। পরের দুই বছর কিছুটা কমে ২০১৫ সালে পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ শত ৩২ কোটি টাকা। যদিও ২০১৬-২০১৭ সালে ১০ লাখ বেশি প্রবাসে গলেও কমে যায় প্রবাসি আয়। যদিও প্রবাসিদের জন্য বিশেষায়িত সুবিধাই পারে সমাধান করতে।
সরকারের পক্ষ থেকে যারা প্রবাস থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন এদের জন্য কোন রকমের ইনসেন্টিভ দেওয়া যায় কি না সে দিকে ভাবতে পারি। বিষয়টিকে সমর্থন দিয়ে প্রবাসি কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে এক থেকে দুই ডলার ইনসেন্টিভ দেবে সরকার।
বর্তমানে সোদি, সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুর্দ্রা আসে।
আপনার মতামত লিখুন :