ডেস্ক রিপোর্ট : পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পাহাড়ি জনপদ পানছড়ির প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসে কেবলমাত্র একদিন কর্মস্থলে উপস্থিত হন। বেতন-ভাতা তুলে আবার চলে যান। বছরের পর বছর ধরে চলা এই অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অফিসের প্রধান কর্মকর্তার অনুপস্থিতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে জনবহুল পানছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কার্যক্রম।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২জুন পানছড়িতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডাক্তার মিজানুর রহমান। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার দায়িত্বও দেয়া হয় তাকে। নির্বাচনকালীন সময়ে নিজ বাড়িতে থেকে তিনি অফিস করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে পানছড়ি এসে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন শেষে আবারো নিজ বাড়ি চট্টগ্রামে চলে যান।
অফিস না করেই তিনি প্রতি মাসে উপজেলা সমন্বয় সভায় উপস্থিত হয়ে বেতন-ভাতাসহ সম্মানী উত্তোলন করেন। একইদিন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করে চলে যান। প্রাণিসম্পদ বিভাগের ফিল্ড সুপারভাইজার দন্তু চাকমা বলেন, স্যার (মিজানুর রহমান) মাসে একবার আসেন। বেতন নিয়ে আবার চলে যায়। বিশাল এই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের রুটিন কাজ করতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়।
অফিস সহকারি পূর্ণ শুভা চাকমা বলেন, তার অনুপস্থিতে আমাদের কাজ-কর্মে অসুবিধা হয় না। তবে, অফিসের কোনো কাজ আটকে গেলে স্যারকে ফোন করে সমাধান করার চেষ্টা করি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে মুঠোফোনে ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ বাড়িতে আছি।
মাসে একদিন অফিস করার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার এন্ট্রি পার্টি টাকা খাওয়ার জন্যে এসব বলে। ২০১৫ সালের জুন মাসে খাগড়াছড়িতে বদলি হয়েছি। দুই বছর থাকার কথা, তার চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এমনিই তো অটো বদলি হয়ে যাওয়ার কথা। হচ্ছে না। এখানে আর থাকার ইচ্ছে নাই। চাকরি করারও ইচ্ছা নাই। কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছি। আর কাজ করতে ইচ্ছে করে না। পারলে একটু বদলির ব্যবস্থা করে দেন।
পানছড়ির ইউএনও মো. আবু হাশেম বলেন, গুরর্ত্বপূর্ণ কাজ থাকলে মাঝে মধ্যে আসেন তিনি। অফিস না করে বেতন-ভাতা তুলে বাড়ি চলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করেছি। এই বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সূত্র :
আপনার মতামত লিখুন :