শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ০৪:৪০ সকাল
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ০৪:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিশরের প্রাচীন শবাধারের ভেতরে কঙ্কাল রহস্য

শেখ নাঈমা জাবীণ: তিন সপ্তাহ আগে মিশরের প্রতœতত্ত্ববিদরা আলেকজান্দ্রিয়া থেকে প্রায় দু'হাজার বছরের পুরনো কালো গ্রানাইটের তৈরি বিশালাকৃতির একটি শবাধার উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ৩২৩ খৃস্টপূর্বে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মৃত্যুর পর যে টলেমিক যুগের সূচনা হয়েছিল এই শবাধারটি সেই আমলের।

তিন মিটার লম্বা শবাধারটির ওজন ২৭ টন, উচ্চতা প্রায় সাড়ে ছয় ফুট। এখনও পর্যন্ত পাওয়া শবাধারগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়। এর ভেতরে তিনটি মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। লাল-বাদামী নোংরা পানিতে এসব কঙ্কাল ডুবে ছিলো। বাড়িঘর নির্মাণ কাজের সময় এই শবাধারটি পাওয়া যায়। এটি খোলার জন্যে তখন মিশরের সরকার প্রতœতাত্ত্বিকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। অনুসন্ধানের সময় শবাধারটির ভেতর থেকে কটু গন্ধ বেরিয়ে আসতে শুরু করায় প্রতœতত্ত্ববিদদের পক্ষে আর সেখানে থাকা সম্ভব হয়নি। পরে মিশরের সামরিক বাহিনীর প্রকৌশলীদের সাহায্য নিয়ে শবাধারটি উন্মুক্ত করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা এখন এই শবাধারটির উপর গবেষণা করে বোঝার চেষ্টা করছেন এর ভেতরে যাদের কঙ্কাল পাওয়া গেছে তারা কোন সময়ের মানুষ এবং কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল। শবাধারটিকে ঘিরে ব্যাপক রহস্যের সৃষ্টি হয়। শবাধারে গ্রিক নেতা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের কঙ্কালও থাকতে পারে !

প্রাচীন নিদর্শন সংক্রান্ত সুপ্রিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা ওয়াজিরি বলেন, ‘একটি পরিবারের উদ্যোগেই নিহতদেরকে মমি করে এই শবাধারে রাখা হয়েছিল। তবে মমিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। দেহের মাংস পঁচে গলে রয়ে গেছে শুধু হাড়গুলো।’

শবাধারটির ভেতরে যে তিনটি কঙ্কাল পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে তারা প্রাচীন মিশরের সেনাবাহিনীর সদস্য। শবাধারটি যেখানে রাখা হয়েছে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, শবাধারটি খোলার অভিশাপে লোকজনের মৃত্যু হতে পারে।

১৯২৩ সালে তুতেনখামেনের শবাধার উন্মুক্ত করার পরপরই লর্ড কারনার্ভন নামের এক ব্যক্তি বিষাক্ত একটি মশার কামড়ে মৃত্যুবরণ করেন। যিনি এই খননকাজে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছিলেন। গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে শবাধারটির ভেতরে যে ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়েছিল তার কারণেই লর্ড কারনার্ভনের মৃত্যু হয়েছিল।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, শবাধারের ভেতরে তৈরি ব্যাকটেরিয়া কিংবা মোল্ডের কারণে আজ পর্যন্ত প্রতœতত্ত্ববিদ বা পর্যটকের ক্ষতি হওয়ার কোন নজির নেই। ধারনা করা হচ্ছে কঙ্কালগুলো ফারাও আমলের সৈন্যের হতে পারে। তিনটি কঙ্কালের একটির মাথার খুলিতে এমন একটি আঘাত আছে যা দেখে মনে হয় যে সেখানে তীরের আঘাত লেগেছিল। সূত্র: বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়