সাজিয়া আক্তার: ক্রমেই কমে আসছে রাজধানীর খেলার মাঠ-পার্ক। সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণে ৭৯টি মাঠ ও পার্ক থাকলেও অবৈধ দখলে অস্তিত্ব নেই অর্ধেকেরও। সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই গোলাপবাগ-লালবাগসহ কয়েকটি মাঠ ও পার্ক ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে কাজ করছে সিটি করোপরেশন।
তেজগাঁও পলিটেকনিক মাঠ থেকে মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের নির্মাণ সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু, ছয় মাস ধরে পড়ে আছে বালু, পাথর, আর সিমেন্ট। গড়ে উঠেছে তিনটি রিকশা গ্যারেজ ও বস্তিঘর।
আশেপাশে খেলার মাঠ না থাকায় বিকেল হলেই জমজমাট হয়ে ওঠে ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্ক। কিন্তু সীমানা ঘেঁষে ফেলা হচ্ছে বাসা-বাড়ির ময়লা। আবর্জনায় ভরে আছে গোটা মাঠ। বসছে ভ্রাম্যমাণ দোকান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে পান্থকুঞ্জ পার্কটি ময়লা-আবর্জনায় মৃতপ্রায়। প্রতিদিন চুরি হচ্ছে লোহার সীমানা প্রাচীর। মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের দখলে থাকে পার্কটি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল বলেন, এই পার্কগুলোর লোহার সীমানা প্রাচিরের অনেকগুলো চুরি হয়ে গেছে। আমরা এটাকে নতুনভাবে সাজাবো। আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারবো।
কাগজে কলমে দুই সিটিতে খেলার মাঠ ২৫টি ও পার্ক ৫৪টি। কিন্তু এর অর্ধেরকেরও বেশির অস্তিত্বে নেই। যে কয়টি আছে তাও আবার অবৈধ দখলে।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, খেলার মাঠগুলো অপব্যবহার রোধ করা এই মুহূর্তে এই অত্যন্ত জরুরী। সরকার যখন শুরু করেছে এটা দ্রুত সর্বোব্যাপী একটি প্রস্তাবনা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা আরো বলেন, শিশুসহ সব বয়সীদের মানসিক বিকাশে একটি শহরের আয়োতনের ১০ ভাগ খেলার মাঠ বা পার্ক থাকা প্রয়োজন। সেখানে ঢাকায় আছে মাত্র চার ভাগ।
-ইনডিপেনডেন্ড টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :