শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৪৬ রাত
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা জমানোর সুবিধা থেকে বঞ্চিত পথশিশুরা

সাজিয়া আক্তার: বাঁচার জন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই কাজ করে আয় করতে হয় পথশিশুদের। তাদের আয় করা অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমানোর সুযোগ থাকলেও সহযোগিতা না থাকায় বঞ্চিত হচ্ছে অনেকেই। এক্ষেত্রে পথশিশু সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে দায়িত্ববোধ বাড়ানো ও জমানো টাকার লভ্যাংশ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। যদিও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বোচ্চ হারেই দেয়া হচ্ছে লভ্যাংশ।

স্টেশনে ট্রেন আসা মাত্রই ছুটে চলা।জীবনের প্রয়োজনেই এ ছুটাছুটি। তাই কখনো টোকাই, কখনো মালামাল টেনে কিছু টাকা আয় করার চেষ্টা মাত্র। তবে যা আয় হয়, তার কিছু অবশিষ্ট থাকলেও নিরাপদ আশ্রয়স্থল না থাকায় হারিয়ে যায় বিভিন্নভাবে।

এদের অনেকেই ব্যাংকিং ব্যবস্থা না জানায় দিনে দেড়'শ থেকে ২'শ টাকা আয় করে কিছু টাকা জমা রাখে নিকটস্থ বা পরিচিত জনের কাছে। পথশিশুরা বলেন, ২০০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করলে সব খাওয়া দাওয়াতেই চলে যায়।

শিশুদের টাকা কে বা কারা কিভাবে ফিরিয়ে দিবে, সেই আশঙ্কা থেকেই পথশিশুদের আয়ের একটি অংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ব্যাংকে একাউন্ট খোলার সংখ্যা বাড়ার বিপরীতে আরো কমছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে আন্তরিক হওয়া এবং জমাকৃত টাকার লভ্যাংশ দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, সামাজিক এনজিও গুলো যারা আছে আমার মনে হয় তারা অধিকতর কার্যকর ভাবে এই বিষয়টা দেখতে পারে। সিপিডির গবেষক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সুদ দেয়া গেলে উভই ভাবেই শিশুরা উপকৃত হবে। এর একটা ইতিবাচক ভূমিকা সমাজে দেখতে পাবো।

আর ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য শর্ত শিথিলের পরামর্শ গবেষকদের। বিআইডিএসের সিনিয়র গবেষক ড. নাজনীন বলেন, তাদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। পথশিশুদের কাছে কাগজপত্র বেশি রাখার সুযোগ নাই।

তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এনজিওর মাধ্যমে সহজে একাউন্ট খোলা ও নির্ধারিত হারেই লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে। এসআইবিএলের এসএভি ইউনিট প্রধান সেলিনা আলম বলেন, আমাদের ব্যাংকের সর্বোচ্চ সুদ টাই দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ওদের মুনাফাটা যোগ হয়।

উন্নয়নশীল দেশের পরিপূর্ণ স্বীকৃতি পেতে ২০৩০ সালে মধ্যে শিশুশ্রম কমিয়ে আনার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র : সময় টেলিভিশন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়