সাজিয়া আক্তার : প্রবাসীদের ভোগান্তির চিত্র বদলায়নি খুব একটা, সে বিদেশি দূতাবাসেই হোক বা দেশের বিমান বন্দরে, সব জায়গায় একই চিত্র। অথচ অর্থনীতির চাকা ঘুরছে তাদেরই শ্রমে। দেশে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ এখন বিদেশি বিনিয়োগের প্রায় ৭ গুণ।
প্রবাসীদের আয়ে উজ্জল হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, গেল অর্থ বছরে তারা দেশে পাঠিয়েছেন দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স, প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার। গেল অর্থবছরে তারা দেশে পাঠিছেন দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স, প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার। সবচাইতে বেশি এসেছে সৌদি আরব থেকে, এর পর তালিকায় আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত আর যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকরা বলছেন নানা চাপের মধ্যেও অর্থনীতির জন্য ভাল খবর রেমিটেন্সের এই গতি আসায় কারণও।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে অনেক লোক গিয়েছে। আরব আমিরাতের বাজার বন্ধ ছিল, এখন তা খুলে দেওয়া হয়েছে, এখন আবার লোক যাওয়া শুরু করেছে। এখন বিদেশে লোক পাঠানোর খরচটা অনেক কমে গেছে।
নানা বিরম্বনা আর ভোগান্তিকে সঙ্গি করে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি এখন বিদেশে। হিসেব বলছে তাদের পাঠানো অর্থ গত বছরে ২১৬ কোটি ডলারে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের চেয়ে প্রায় ৭ গুণ বেশি। বিশ্ব ব্যাংকের মতে রেমিটেন্স আয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯ম অবস্থানে, আর দক্ষিণ এশিয়ায় ৩য়। বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু পদক্ষেপ নিলে এই আয় আরো বাড়বে।
রামরু অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থার পরিচালক মেরিনা সুলতানা বলেন, অভিবাসীরা যদি প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা পায়, এবং যে সেলারিটা পায় তাতে যদি যে টাকা খরচ করে সে বিদেশে যাচ্ছে তা যদি তাড়াতাড়ি অর্জন করতে পারে তাহলে অভিবাসীর সংখ্যার সাথে রেমিটেন্সের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
সরকার বলছে এরই মধ্যে নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। যার সুফল এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশে বাড়াচ্ছে বিদেশি মুদ্রার মজুদ, যা দিয়ে সহজেই সম্ভব হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেন। শুধু তাই নয়, রেমিটেন্সের এই প্রবাহ গ্রামীন জনপথ, জোড়ালো করছে দেশের অর্থনীতিকেও।
সূত্র : এটিএন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :