স্বপ্না চক্রবর্তী : ২০১৮সালের পরে বাংলাদেশে আর নিজেদের কার্যক্রম পরিচালত করবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা জোট এলায়েন্স।
রোববার বাংলাদেশের পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপদে কাজ করার তদারকিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা জোট এলায়েন্স কর্তৃক আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। এলায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক সাবেক রাষ্ট্রদূত জিম এফ মরিয়ার্টি জানান, নির্ধারিত মেয়াদের পরে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে জড়িত কোনো বিষয়ে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি কতো হবে এই খাতের সাথে জড়িতদের মতামত অনুসারে নিজেদের কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমাদের কোনো কিছু করার নেই। তবে আমরা আশা করছি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মনিটরিং টিম তৈরি করবে। যাতে ভবিষ্যতে রানা প্লাজার মতো কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। তিনি বলেন, আমাদের হেল্প লাইনে ২লাখ ৩৩হাজার শ্রমিকের ফোন এসেছে। আমরা যথাসাধ্যভাবে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তবে মেয়াদোত্তীর্ণের পর পরই আমরা আর এসব কর্মকান্ড থেকে নিজেদের বিরত থাকবো।
প্রসঙ্গত গত সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিদেশী ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সকে বর্ধিত মেয়াদের শেষে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে জানিয়ে বলেছেন, এরপর কোনোভাবেই তাদের আর সময় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে আমাদের পোশাক খাতে তাদের পরিপূরক হিসেবে কারখানার কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্ত নিশ্চিত করারস জন্য আমরা সংস্কার সমন্বয়ক সেল বা রিমেডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করেছি। তাই বাংলাদেশে আর অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এই বক্তব্যের ধারাবাহিকতায়ই এই জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যালায়েন্স। এসময় জোটের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :