ফেসবুক পোস্ট: যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিচার করবে আদালত।বিচারের দায়িত্ব তো কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নয়।
মাহমুদুর রহমান একজন সাবেক সচিব।বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা। একটি পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।তার হয়তো দলীয় সমর্থন রয়েছে।তিনি বিএনপির প্রতি দুর্বল। ধরে নিলাম তিনি সরাসরি বিএনপির রাজনীতিও করেন। বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিকই তো রাজনীতি করেন। অনেক আমলাও তো আওয়ামী লীগ করেন। তাই বলে বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে শারিরিক নির্যাতন করবে আর পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করবে এটা খুবই দুঃখজনক।
আরো পড়ুন: এই দেশে কেউ নাই এসব পিশাচ আর তাদের প্রভুদের থামানোর?? ছি. . : আসিফ নজরুল
মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। যদি করেই থাকেন তাহলে তার বিচার করবে আদালত। কেন সেই বিচারের দায়িত্ব ছাত্রলীগের হাতে তুলে নিতে হবে? বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে সেনাবাহিনী, পুলিশ থাকার পরও রক্ষীবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে একটি প্যারালাল আদালত বা বিচার ব্যবস্থা চালু করেছিল। রক্ষীবাহিনীর হাতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাসহ শতে শতে মানুষ নিহত হয়েছিল।এখন কি ছাত্রলীগ সেই রক্ষীবাহিনীর ভূমিকা পালন করেছে? বাংলাদেশে অপরাজনীতির পথ প্রস্থ করেছিল রক্ষীবাহিনী। অথচ বঙ্গবন্ধু যখন চরম বিপদের মাঝে স্বপরিবারে নিহত হলেন তখন বঙ্গবন্ধু তখন রক্ষীবাহিনীর সামান্যতম সহযোগিতা পাননি!
আরো পড়ুন: এখন কি ছাত্রলীগ সেই রক্ষীবাহিনীর ভূমিকা পালন করছে?
লেখাটি ‘বেলাল রিজভী’র ফেসবুক থেকে নেয়া।
আপনার মতামত লিখুন :