সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর):দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কবর স্থানের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছে ওই জমির স্থানীয় অংশীদাররা।
এঘটনায় করা মামলায় প্রধান শিক্ষিকাকে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে পার্বতীপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, দিনাজপুর।
জানা গেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রাজাবাসর মৌজায় সি,এস-৩৭৬ ও এস,এ ৫৪৯ খতিয়ান, ৮৩০ নম্বর দাগে শুণ্য দশমিক ২১ একর জমি দীর্ঘদিন যাবতও ভোগ দখল করে আসছেন মূল মালিক মরহুম আব্দুল বাকী মুন্সি ও আফসার আলী মুন্সির বংশধররা। তাদের মৃত্যুর পর জমিটি অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। সেখানে মূল মালিকসহ ওই পরিবারের অনেকের কবরস্থান রয়েছে। সম্প্রতি আতাউর রহমান মুন্সি নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ওই জমির মালিক দাবী করে বেলতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অর্চনা রানীর সঙ্গে তা বিক্রির কাগজপত্র তৈরী করেন। জানতে পেরে মূল অংশিদারের পক্ষে খাদিজা বানু ও আতিকুর রহমান মুন্সি বাদী হয়ে আদালতের আশ্রয় নিলে বিজ্ঞ আদালত প্রধান শিক্ষিকা অর্চনা রানীকে ১৫ দিনের মধ্যে কেন তার বিরুদ্ধে অস্থায়ী কিংবা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ প্রদান করেন। কিছু দিন পূর্বে অরবিন্দু বিশ্বাস ও অর্চনা রানী তার লোকজন জমি দখলে চেষ্টা করে। তবে দখল নিতে ব্যর্থ হন। এনিয়ে এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা অর্চনা রানী (৫৩) বলেন, আতাউর রহমান মুন্সির দলিলপত্র ও খারিজ খাজনার নথি দেখেই আমি জমিটা কিনি। তবে তিনি ওই জমিতে কবরস্থান থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, পুরো জমিতে নয়, এক পার্শ্বে কবরস্থান রয়েছে।
আলোচিত জমির আরেক অংশীদার মোশারফ হোসেন মুন্সি দাবী করেন, ১৯৭৮ সাল থেকে তারা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। এখানে বাবা-মায়ের কবর রয়েছে। জীবন দিয়ে হলেও আমরা কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :