শিরোনাম
◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৮:২৩ সকাল
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৮:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিকারাগুয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে সরকার সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ

কান্তা আইচ রায় : নিকারাগুয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে তিন মাসে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন। সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সরকারের সমর্থকেরা হামলা চালানোর ফলেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলেই অভিযোগ করা হচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা নিজে একসময় বিপ্লবী নেতা ছিলেন ।সেখান থেকে প্রেসিডেন্ট হবার পর তার রূপ বদলে যেতে থাকে। এখন তিনি স্বৈরাচারি শাসকের মত আচরন করছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

হোলসে পালাসিওস নামের এক তরুনের মরদেহ সৎকারের জন্য তার আত্মীয় স্বজন ,বন্ধু বান্ধব সকলে জড়ো হয়েছিলো নিকারাগুয়ার মনিম্ব শহরের সমাধিস্থলে।

নিকারাগুয়ায় গত ৩ মাসে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন।হোলসে পালাসিওস হলেন তাদের মধ্যে একজন। যার বয়স ছিলো মাত্র ২৭ বছর। যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েলে ওর্তেগার পদত্যাগের জন্য বিক্ষোভ করছিলেন ।
পালাসিওসের বিধবা স্ত্রী রোকসানা বলেন ,নিকারাগুয়ায় চলতে থাকা অবিচারের প্রতিবাদ করতে গিয়েই নিহত হয়েছেন তার স্বামী। পেটে আর কোমরে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে তার স্বামীর। স্বাধীন দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে মারা যায় তিনি।
সমাধিক্ষেত্রের বাইরে মূল শহরের চিত্র ছিলো পুরোই আলাদা। রাস্তায় অস্ত্রহাতে মুখোশ পরিহিত বেশ কিছু লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এবং ধারনা করা হয় হয়তো এদের কারো অস্ত্রের গুলিতেই নিহত হন পালাসিওস।

সান্দ্রিনিয়েস্তা বিদ্রোহের বার্ষিকী উৎযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। প্রায় চার দশক আগে এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই ড্যানিয়েল ওর্তেগা নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নিকারাগুার সাম্প্রদিক সরকার বিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছিলো পরে এটি সরকার সমর্থক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরিনত হয়।

এখন প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার পদত্যাগের জন্য যেমন বিক্ষোভ করা হচ্ছে ঠিক তেমনি ১৯৭৯ সালে এমন একটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওর্তেগা নিজে।

সেসময় সান্দ্রিনিয়েস্তা বিদ্রোহে কাজ করা সাংবাদিক জন লি এন্ডারসন বলেন, যে নিজে একসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে সে নিজে এখন সেই একই অন্যায় করছে।

৪০ বছর আগের প্রসিডেন্ট স্যামুজার উৎখাতের সময় আর এখনকার পরিস্থিতি অনেকটাই একই রকম।স্যামুজার মত বিভিন্ন শহরে বিমান হামলা না করলেও বড় শহরগুলোতে মুখোশধারী প্যারা মিলিটারি পাঠাচ্ছে ওর্তেগা। যারা সব ধরনের সরকার বিরোধী আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করছে। অতীতে স্যামুজারের উপরও ভরসা করে ঠকতে হয়েছে নিকারাগুয়ার মানুষকে। যা প্রেসিডেন্ট ওর্তেগার বেলাতেও তাই হয়েছে। তবে নিকারাগুয়ার সাধারণ মানুষ সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। হোলসে পালাসিওসের সৎকারের সময় তার পরিচিতদের কন্ঠে ছিলো সেই প্রতিজ্ঞার আভাস। সূত্র : বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়