রাসেল হোসেন,ধামরাই: ‘জয় মা বাবাকে দেখিস ভাই।আর কখনো দূরে ফেলে দিস না।মাকে অনেক ফোন দিলাম দরলনা। মা বাবা ভাল থেকো।দিদি দাদা মা বাবাকে কখনো পর করে দিয়েন না। আর দাদা বৌদি তরা ভাল থাকিস।ফোনটা বিক্রি করে দিয়েন দাদা টাকাটা বাবার কাছে দিয়েন নাইলে আপনে চালাইয়েন।আমি চলে গেলাম।দাদা মা বাবাকে দেখে রাখিস। আমি চলে গেলাম তাদের দেখার মত আর কেউ রইল না।আর আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আমি ওই মেয়েকে অনেক ভাল বাসতাম।ওকে কোন দোষ দিয়েন না।আমার আর বাঁচার ইচ্ছে করছে না।তাই চলে যাই।আর একটা কথা আমার মরার পর তিথিকে লাশটা দেখিয়ে সমাধি করবেন।আর আমার মানিব্যাগে কিছু টাকা রেখে গেলাম।আর মনুগে দেখে রাখবেন।’
শনিবার দিনগত রাতে এমনি একটি চিরকুট রেখে আত্মহত্যা করেছে সুমন বাউলী(২৫) নামে এক পোশাক শ্রমিক। সুমন একেএইচ গার্মেন্টস এ কর্মরত ছিলেন। সুমন পিরোজপুর জেলার কাউখালি থানার রাধাকাটি গ্রামের সুনীল বাউলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বালিয়া লতিফা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সুনম।ভাড়া বাড়ির নিজ রুমে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শন (এস আই) ভজন রায় জানান, সংবাদ পাওয়ার সাথে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :