রাশিদ রিয়াজ : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, আঞ্চলিক দেশগুলোতে তার দেশের সেনা উপস্থিতি ইরানের নিরাপত্তা ও শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ এবং এ কারণেই শত্রুরা এর বিরোধিতা করছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একদল কর্মকর্তা, বিদেশে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ও চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সদের একটি দল শনিবার তেহরানে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খামেনি বলেন, ইরানের পরমাণু সক্ষমতা, উচ্চ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ক্ষমতা এবং আঞ্চলিক দেশগুলোতে ইরানের সেনা উপস্থিতির ব্যাপারে আমেরিকার বিরোধিতা প্রমাণ করে ইসলামি শাসনব্যবস্থার শক্তিমত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের গভীর বিদ্বেষ রয়েছে।
খামেনি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের আগে ইরানের শাহ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে নতজানু আচরণ করত ওয়াশিংটন এখনও সেইরকম ইরানকে চায়। এর ব্যতিক্রম যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ নয়।
তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইরানি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদেরকে নিজেদের শক্তি, সামর্থ্য ও যোগ্যতা উপলব্ধি করে সে অনুযায়ী প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ দিতে গিয়ে সাবেক উপনিবেশগুলোতে ইউরোপীয় দেশগুলোর অপরাধযজ্ঞ, পাশ্চাত্যে গণতন্ত্রের সীমাবদ্ধতা, যুক্তরাষ্ট্রে বড় দুই রাজনৈতিক দলের স্বৈরাচারী আচরণ এবং ইয়েমেনে সৌদি সরকারের চলমান গণহত্যার প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর পৃষ্ঠপোষকতার কথা উল্লেখ করেন।
খামেনি বলেন, পশ্চিমারা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করে গেলেও তারা নির্লজ্জভাবে এ ব্যাপারে ইরানকে দোষারোপ করছে। আমি অনেক আগে থেকে একথা বলে এসেছি যে, মার্কিনীদের কথায় এমনকি তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তিতেও আস্থা রাখা যায় না। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো ফল আসবে না। পার্সটুডে
আপনার মতামত লিখুন :