শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৬:৩৩ সকাল
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৬:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগোরা যদি ঠকানোর কারবারি করেন, তাহলে আমরা যাব কোথায়!

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর ইন্দ্রিরা রোডের আগোরা সুপার সপ থেকে রাজীব উন নবী চেরি ফল লেখা দেখে কিনেন। কিন্তু, বাসায় গিয়ে বাচ্চারা খাওয়া শুরুর পরই দেখতে পান, আসলে এটি চেরি ফল নয়। পরে সেগুলো ফেরত আনলে আগোরা থেকে জানানো হয়, আপনি চেরি ফল কিনেননি, সবজি কিনেছেন। এরপর রাজীব উন নবী তো আকাশ থেকে পড়েলেন! বিভিন্ন ধরনের ফল রাখা রো থেকেই তো তিনি মাত্র ২৯০ গ্রাম চেরি ফল ২২৯ টাকা দিয়ে কিনেন। মুহূর্তে তা হয়ে গেল টমেটো সবজি! এটার নাম চেরি টমেটো। এ পর্যায়ে রাজীব উন নবী বললেন, ‘নগর জীবনে মানুষ খুবই ব্যস্ত। এজন্যই বাজারে না গিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্বাস করে পণ্য কিনেন। কিন্তু, এরা যদি এমন লোক ঠকানোর কারবারি করেন, তাহলে আমরা যাব কোথায়?’

রাজীব উন নবীর অভিযোগ পেয়ে ইন্দ্রিরা রোডের কুতুববাগ দরবার শরীফের পাশের ভবনে আগোরা আউটলেটের ম্যানেজার টুটুল জানান, স্টিকারে জায়গা কম থাকায় তারা শুধু চেরি শব্দটি লিখেছেন। আসলে চেরি টমেটো লেখা উচিত ছিল। টমেটোর দাম এত কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা যেনতেন টমেটো নয়, উন্নত জাতের বিদেশি টমেটো। দাম একটু বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক।’

পরে এই আউটলেট ঘুরে দেখা যায়, আকর্ষণীয় মোড়ক করে টমেটো ও কাঁচা মরিচ রাখা হয়েছে আতা ও ছফেদা ফলের সারিতে। সবজি কেন ফলের মধ্যে, পূর্ণ নামই বা কেন লেখা নেই? এটা কি ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা নয়— জানতে চাইলে ম্যানেজার টুটুল নিজে হাতে মরিচ ও টমেটোর প্যাকেটগুলো সবজির সারিতে নিয়ে গিয়ে রাখলেন। কিন্তু, প্রতিবেদককে জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না।

এক পর্যায়ে প্রতিকার কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি তিনটি নম্বর দেন। কিন্তু, তার সামনেই সেগুলোতে একাধিকবার কল দিলেও কেউ রিসিভ করেননি।

চেরি ফল টমেটোতে রুপান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে বাদানুবাদের মধ্যেই ফারুক সরদার নামের আরেক ক্রেতা মাছ হাতে হাজির। ম্যানেজারের নাকের গোড়ায় নিয়ে বললেন, ‘আপনাদের এই বাতাশি মাছ (ছোট মাছ) পচা। এভাবে লোক ঠকানোর ব্যবসা করেন কেন?’

কিন্তু, টুটুল তার এই প্রশ্নেও লা-জবাব। যেন কিছুই ঘটেনি বা তার কাছে কোনো অভিযোগই আসেনি।  সূত্র : পরিবর্তন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়