আশিক রহমান : ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচন করা সম্ভব হলেও ২০১৯ সালে তা সম্ভব নাও হতে পারে, সরকার যদি তা করার চেষ্টা করে তার পরিণতি ভয়াবহ হলেও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
আমাদেরসময় ডটকমকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আইয়ুব খানের সামরিক শাসন যতটুকু শক্তিশালী, ১৯৭১ সালে তারা আরও বেশি শক্তিশালী ছিল। এস্টাব্লিশড ছিল । ছিল সংঘবদ্ধও। পরাজিত হয়েছিল কেন? একাত্তরের আগে বাঙালি ছিল না? তারা কি তখন অস্ত্র ধরেছিল, যুদ্ধ করেছিল? ২৬ মার্চ হয়েছিল? একাত্তরের ২৬ মার্চ হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গেছে। ২০১৪ সালের মতো নেই। পাকিস্তান টিকে ছিল না ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন কি পাকিস্তান আছে? আওয়ামী লীগের আগে বিএনপি ছিল না? বিএনপি আছে এখন ক্ষমতায়? আওয়ামী লীগ যে ক্ষমতা থেকে চলে যাবে না, চিরস্থায়ী হবে? পৃথিবীতে কোথাও স্বৈরাচার চিরস্থায়ী হয় না। এক দলের শাসন চিরস্থায়ী হয় না। এক ব্যক্তির শাসনও চিরস্থায়ী হয় না। হিটলার-মুসোলিনি থেকে আমাদের দেশের সরকার অনেক বেশি শক্তিশালী? অসম্ভব। যতদিন বেঁচে থাকব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাব আমি।
এক প্রশ্নের জবাবে আ স ম আবদুর রব বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন-সংগ্রাম আজকে নিষ্ঠুরভাবে নিঃশেষ করা হচ্ছে। আমার জন্ম ব্রিটিশ আমলে। আন্দোলন করে পাকিস্তানকে ভেঙেছি। আমাদের লাঠিচার্জ করে গ্রেপ্তা করেছে। টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। জল কামান থেকে গরম পানি, রঙিন পানি দিয়েছে। মেরেছে পুলিশ। কিন্তু বুট দিয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের পিটের মধ্যে লাত্থি মারা কি গণতন্ত্র?
তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনে অধিকসংখ্যক আসন পাওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানিরা ক্ষমতা দেয়নি। তার জন্য অস্ত্র ধরতে হয়েছে। ঘরে বসে, সভা-সমাবেশ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল করা যায় না। এজন্য মাঠে নামতে হয়। আন্দোলন করতে হয়। যেকোনো স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, ডিটেক্টরের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। যত বড় দলই হোক একক দলের পক্ষে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হওয়া যায় না।
আপনার মতামত লিখুন :