শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৮, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮, ১১:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

`মাত্র ৪ ঘন্টার নোটিশে খালেদা জিয়াকে ছাড়াই বিএনপির সভায় লক্ষ লোকের সমাবেশ’

মোবায়েদুর রহমান : যখন স্কুলে পড়তাম তখণ দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ বেশ জনপ্রিয় পত্রিকা ছিল। পত্রিকাটি আওয়ামী লীগ বিশেষ করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অন্ধ সমর্থক ছিল। ঢাকায় জনাব সোহরাওয়ার্দীর সভায় বিপুল জন সমাগম হতো। সোহরাওয়ার্দীকে ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক সম্পাদক মরহুম তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া বলতেন ‘শহীদ সাহেব’। ইত্তেফাকে সোহরাওয়ার্দীর বিশাল জনসভার কমন ক্যাপশন ছিল, ‘ছবি কথা বলে’। লেখা থাকতো, শহীদ সাহেবের মিটিংয়ে কত মানুষ হয়েছে সেটা আমরা বলবো না, বলছে এই ছবি।

মরহুম মানিক মিয়ার নামে সংসদ ভবনের পাশের বিশাল চওড়া রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মানিক মিয়া এভিনিউ’। গত ২০ জুলাই শুক্রবার বিএনপির নয়া পল্টন অফিসের সামনের রাস্তায় বিশাল জনসমাবেশ হয়েছে। জন সমাবেশের অনুমতি অনেক আগে চাওয়া হলেও সেই অনুমতি মিলেছে সভা অনুষ্ঠানের মাত্র ৪ ঘন্টা আগে। তাও আবার সাথে শর্ত দেওয়া হয়েছিল ২৩টি। বেগম জিয়া আজ প্রায় ৬ মাস হলো জেল খানার অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দী। তাকে জামিন দেওয়ার কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। তাই বিএনপি এবং ২০ দলকে বাধ্য হয়েই বেগম জিয়াকে ছাড়াই তার মুক্তি দাবি করে মিটিং করতে হচ্ছে। দীর্ঘ আড়াই বছর পর সরকার বিএনপিকে মিটিং করার অনুমতি দিয়েছে । তাও আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়, নয় পল্টনে। তাও আবার মাত্র ৪ ঘন্টা আগে অনুমতি মিলেছে।

মাত্র ৪ ঘন্টা আগে অনুমতি পাওয়ার পর সভায় কি পরিমাণ জন সমাগম হয়েছিল সেটি আমি বা আমরা বলবো না। আপনারা দেখুন সেটি ছবিতে। মরহুম মানিক মিয়ার সেই উক্তিটি ধার করে বলছি,‘ ছবি কথা বলে’। নিচের ছবি গুলো দেখুন।

১ নং ছবিটি ছাপা হয়েছে ইংরেজি ‘ডেইলি স্টারে’। স্টার কিন্তু বিএনপি পন্থী নয়।
২ নং ছবিটি ছাপা হয়েছে ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজে’। নিউ এজ কিন্তু বিএনপি পন্থী নয়।

আমি দেখেছি, জন সমাবেশের প্রান্ত ছিল নয়া পল্টনের নাইট্যাঙ্গল মোড়ে। আর এক প্রান্ত ছিল ফকিরাপুল ছাড়িয়ে প্রায় জোনাকি সিনেমার কাছা কাছি।

এখন ভাবুন, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়াই মাত্র ৪ ঘন্টার নোটিশে যদি লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটতে পারে তাহলে বেগম জিয়া কারা মুক্ত যদি সভা করতে পারেন তাহলে কত লোক হতে পারে? নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের মতে ১৫ লক্ষ ২০ লক্ষ। আর তারাও হবেন স্বতঃস্ফূর্ত জনতা, কোনো ভাড়াটিয়া দর্শক শ্রোতা নয়।

এই বিশাল জনসভায় ঘোষণা করা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে বাংলাদেশে কোনো ইলেকশন হবে না, সেই ইলেকশন করতে দেওয়া হবে না। যে সব দাবি পূরণ হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে তার এক নম্বর হলো বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি। শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি এই অবস্থানে অনড় থাকে তাহলে আমি রাজনৈতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে বলতে পারি যে আকাশে কালো মেঘ জমছে। মনে হচ্ছে ঝড় আসছে। প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের পূর্বাভাস।

পরিচিতি: সহযোগী সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব/ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়