শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৬:৩৯ সকাল
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৬:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোলা বিএনপি সভাপতি আলমগীরের সরকারি সমন্বয়ের রাজনীতি!

আসাদুজ্জামান সম্রাট : দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ জেলা ভোলায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি খুব একটা পালিত হয়না। এখানকার বিএনপির শীর্ষ নেতা গোলাম নবী আলমগীরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আতাতের মাধ্যমে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে গত ১০ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে একটি রাজনৈতিক মামলাও এমনকি একটি জিডিও হয়নি তার নামে। এ সময়ে অবশ্য দুটি চেক জালিয়াতির মামলায় আসামী হয়েছেন তিনি।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া নির্বাচনী উত্তাপে গোলাম নবী আলমগীর ভোলা-১ (সদর) আসনের প্রার্থী হতে চাইছেন। এ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ প্রার্থী হওয়ার জোর দাবিদার। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেই বিতর্ক উসকে দিয়েছেন গোলাম নবী আলমগীর। বিগত সময়গুলোতে তার ভূমিকার পোস্টমর্টেম করতে বসছেন সকলে।

গোলাম নবী আলমগীর এক সময়ে ভোলা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাগ্নে মনিরুজ্জামান মনিরের কাছে পরাজিত হয়েছেন। ভোলার বিএনপির একটি অংশ ও বিজেপির নেতারা তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে এটিকেই নেতিবাচক ইস্যু হিসেবে দাড় করিয়েছেন।

বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাজাহানের ছোট ভাই গোলাম নবী আলমগীরের সরকার বিরোধী ভূমিকা না রাখার অভিযোগ খোদ দলের মধ্যেই রয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই মনে করেন তার কারনে ভোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আন্দোলন সংগ্রাম জমাতে পারেনি বিএনপি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিই তিনি পালন করেছেন। কিন্তু এটা সত্য যে, তার নামে কোনো মামলা হয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আতাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

নিজের অতীত রাজনৈতিক গৌরব তুলে ধরে বলেন, এরশাদ শাসনামলে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না হলেও অর্থ কেলেংকারির চারের অধিক মামলা হওয়ায় ভোলার রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য সবগুলো মামলায় তিনি জামিনে আছেন। নিজের মামলা সম্পর্কে বলেন, এগুলো ব্যবসায়িক। রাজনীতিতে তার কোনো ত্রুটি নেই। আজও তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন। তবে স্থানীয় রাজনীতি দলের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি থাকলেও আগামী নির্বাচনে সবাই তার মনোনয়ন চান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়