শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৬:১৯ সকাল
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০৬:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটি টাকা দিয়েও সংযোগ পাচ্ছে না ১৫০০ গ্রাহক

ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। সরকার এসব এলাকার নাথপাড়া, হিন্দুপাড়া, পূর্ব চাম্বল গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে তিন বছর আগে ঠিকাদারের মাধ্যমে খুঁটি স্থাপন করে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তারও টানানো হয়। এদিকে স্থানীয় প্রায় ১৫০০ গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গণস্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

এলাকাবাসী জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার রোকন উদ্দিন নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নকশাবহির্ভূত এলাকায় খুঁটি স্থাপন করে তার টানিয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় মোরশেদুল আলম, মোজাম্মেল ও আকবরের মাধ্যমে এলাকার ১৫০০ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগপ্রত্যাশী গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে মিটারপ্রতি পাঁচ-ছয় হাজার টাকা করে ৮৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসব দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও এলাকাবাসী কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর বাঁশখালী জোনাল অফিসের চিহ্নিত কিছু দালাল সিন্ডিকেট করে এসব চাঁদাবাজি করছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর বাঁশখালী জোনাল অফিসের প্রকৌশলী ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে গ্রাহকের মাত্র ৮৫০ টাকা খরচ হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানকারী ঠিকাদারের সঙ্গে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনো সম্পর্ক নেই। এর বাইরে কেউ চাঁদাবাজি করে থাকলে গ্রামবাসীর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। স্থানীয় কতিপয় দালাল গ্রাহকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে খবর পেয়ে গ্রাহকদের সচেতন করতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পোস্টারিং ও মাইকিং করা হচ্ছে।

তবে ঠিকাদার রোকন উদ্দিন বলেন, ‘চাঁদাবাজির সঙ্গে আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জড়িত নয়। স্থানীয় দালালরা এসব টাকা নিচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এসব চিহ্নিত দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।’ বিদ্যুৎ সংযোগ বিলম্বের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত জটিলতায় বিদ্যুৎ সংযোগ আটকে আছে। দ্রুতই এ জটিলতা কেটে যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী দিবেশ কান্তি দেব বলেন, এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরযুক্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করতে গ্রামবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। সূত্র : কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়