শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০১:১২ রাত
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮, ০১:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা উধাও

স্বপ্না চক্রবর্তী : উধাও হয়ে গেছে ২২৭ কোটি টাকা মূল্যের দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলন করে রাখা ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রকল্পের ৪ কর্মকর্তাকে আনা হয়েছে সাজার আওতায়।

কয়লা খনি কোম্পানিটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা যেখানে স্তুপ করে রাখা হয় সেখানে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা মজুদ থাকার কথা ছিল। অথচ সেখানে এখন এক টন কয়লাও নেই। প্রতি টন কয়লার বর্তমান বাজার মূল্য ১৬ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ২২৭কোটি টাকার কয়লার কোনো হদিস নেই। এই ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমেদ ও কোম্পানী সেক্রেটারি ও মহাব্যবস্থাপক আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে অন্য জায়গায়। আর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) মো. নূর-উজ-জামান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে। দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এই চারজনের বিরুদ্ধে এরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিএমসিএল-এর এক কর্মকর্তা।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, হাবিব উদ্দিন আহমদকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করে পেট্রোবাংলায় ফিরিয়ে আনা হলেও আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করে সিরাজগঞ্জে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানিতে পাঠানো হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে দায়িত্ব পাওয়া

জানা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে চালাতে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সাময়িকভাবে উত্তোলন বন্ধ থাকায় ও মজুদ ফুরিয়ে আসায় ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটিতে এখন আংশিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। কয়লা সংকটে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপর ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রটিও পূর্ণ শক্তিতে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টিকে দেশের জ্বালানি খাতের অশনিসংকেত হিসেবে বলে মন্তব্য করছেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি বলেন, কয়লা চুরির মতো ঘটনায় এর সাথে সংশ্লিষ্টরাই জড়িত রয়েছে। সরকার যদি বিরুদ্ধে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে একটা সময় এটি ভয়ংকর আকার ধারণ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়