শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৮, ১১:০৮ দুপুর
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৮, ১১:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানের ওপর আরো অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির মার্কিন চেষ্টা

রাশিদ রিয়াজ : ইরান সব দিক থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী ও শক্তিশালী দেশ। এ অঞ্চলে ইরানের রয়েছে শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান এবং বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি। এ ছাড়া, এ অঞ্চলসহ বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের রয়েছে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক।

ইরানের এ শক্তিশালী অবস্থানের কারণে দেশটির ওপর ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক সমাজ এখন এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে মার্কিন স্বেচ্ছাচারী নীতির কাছে আত্মসমর্পণের অর্থ হচ্ছে আর্থ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নিজেদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া। তুরস্কের কর্মকর্তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান হচ্ছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ শরীক দেশ। দৈনিক 'ডেইলি সাবাহ' পত্রিকা জানিয়েছে, "আমেরিকার পররাষ্ট্র ও অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা ইরান বিরোধী মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য তুর্কি কর্মকর্তাদের রাজি করানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছেন।" এদিকে, "ভারতের তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও বলেছেন, তার দেশের সরকার জাতীয় স্বার্থের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তেল আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।"

যাইহোক, এসব বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানকে কাবু করা যাবে বলে আমেরিকা যে স্বপ্ন দেখছে তা অলিক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য সব দেশকে বাধ্য করার জন্য যে চেষ্টা চলছে আমেরিকা তাতেও ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত আলেক্সান্ডার ল্যাভরেন্তিয়েভ গতকাল (শুক্রবার) তেহরানে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা উচ্চ পরিষদের উপপ্রধান সাঈদ ইরাভানির সঙ্গে সাক্ষাতে বলেছেন, "রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপকে অগঠনমূলক এবং সবার জন্য ক্ষতিকর হিসেবে অভিহিত করেছেন।"

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ ইউরো নিউজ টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, "পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের পর প্রমাণিত হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে সেদেশের জাতীয় স্বার্থের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না।"

এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১৫ সালে বুশ ও ওবামা প্রশাসনও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা পিটার হ্যারেল সম্প্রতি 'ফরেন আফরায' সাময়িকীকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, "প্রেসিডেন্ট বুশ ও প্রেসিডেন্ট ওবামা দু'জনই ইরানের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য সব রকমের চেষ্টা চালিয়েছেন।" তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আসার পর তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের তীব্র সমালোচনা ও বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন। এ অবস্থায় পরমাণু সমঝোতা টিকিয়ে রাখতে হলে পরমাণু ক্ষেত্রে ইরানের সীমাবদ্ধতা আরোপের পাশাপাশি দেশটির ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া উচিত।"

যাইহোক, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল তাতে ইউরোপসহ আমেরিকার অন্য মিত্র দেশের সমর্থন ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে আসায় এমনকি ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ওই দেশগুলো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবং এখন আর তারা ইরান ইস্যুতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে রাজি হচ্ছে না। পারসটুডে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়