শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০১৮, ১২:৫০ দুপুর
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮, ১২:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চায় বিএনপি

শাহানুজ্জামান টিটু : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সাত শর্ত দিয়েছে বিএনপি। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে সর্বাগ্রে দলের প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকারে পরাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ তিন থেকে পাঁচ মন্ত্রণালয়, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনগঠন, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচনী রুপরেখা ঘোষণার দেওয়ার কথা ছিলো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। কিন্তু একটি দূর্নীতি মামলায় কারাদন্ড প্রাপ্ত হওয়ায় তার পক্ষে এই রুপরেখা ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য নানা শর্ত দেওয়া হচ্ছে। এসব শর্তপূরণ করা হলেই কেবল নির্বাচনে যাবে দলটি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত পরিস্কার ভাষায় বলেছি আমাদের নেত্রীকে অবিলন্বে মুক্তি দিতে হবে। এটা আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার প্রধান শর্ত। এখানে নো কম্প্রোমাইজ। আপনিই বলুন আমাদের নেত্রী বিনা দোষে কারাভোগ করবেন আর আমরা সেটা মেনে নেবো। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ আছে? আওয়ামী লীগের অধিনে কেমন নিবার্চন হয় তা তো কারো অজানা নেই। যার সর্বশেষ প্রমাণ গাজীপুর। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনে হবে, অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন, এটা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না বা কারোর ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার নির্বাচন হবে না। জনগণ ভোট দেবে তারাই ঠিক করবে কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় পায় এ জন্যই তারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

আর বিএনপির থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক ঢাবির সাবেক উপচার্য্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, নির্বাচনের যাওয়ার জন্য বিএনপি প্রস্তুত। কিন্তু সেই নির্বাচনের আগে বিএনপির নেত্রীকে মুক্তি দিতে হতে, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্বাচনকালীন সরকারে জনপ্রশাসনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দিতে হবে। সবদল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে অন্তবর্তিকালিন সরকার গঠন করতে হবে। যদি এরকম একটা পরিবেশ হয় তাহলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। তবে সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। ৭৮ হাজার মামলায় ২০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সকলেই চাচ্ছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা সে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে খালেদা জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচন হতে হবে। না হলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ আরেকটি নির্বাচন হবে ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়