শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৪:১৭ সকাল
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৪:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬ লাখ কর্মকর্তা সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন

হ্যাপী আক্তার : ৩ সিটি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরপরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ জনবল। বিশাল সংখ্যক জনবলের জন্য নিরপেক্ষ লোক বাছাই করা কমিশনের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেন।

আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ। ভোটকেন্দ্র নীতিমালা বলছে, গড়ে ২৫০০ ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র, এবং ৬০০ পুরুষ আর ৫০০ নারী ভোটারের জন্য থাকতে হবে একটি করে ভোটকক্ষ। সে হিসেবে আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের প্রয়োজন হবে প্রায় ৪০ হাজার, আর ভোটকক্ষ ২ লাখ।

এরইমধ্যে প্রতিটি সংসদীয় আসনে শুরু হয়ে গেছে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা তৈরির কাজ। অভিযোগ নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার ।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রয়োজন হবে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ জনবল। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিয়োগের লক্ষ্যে ৩০শে জুলাইয়ের পরপরই সিভিল প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেওয়া হবে প্যানেল তৈরির নির্দেশনা।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, ভোটকেন্দ্র বাছাইয়ের প্রাথমিক একটা পর্যবেক্ষণ চলছে। সরজমিনেও সেগুলো দেখা হবে। ৩০ তারিখ হতে তো আর বেশি সময় নেই । এজন্য পরে হয়তো আমরা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আসবো। নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ থেকে শুরু করে সবকিছুই সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে।

বিশাল এই সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরপেক্ষ লোক বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে ইসিকে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেন বলেছেন, আমরা যতই আইন করি না কেনো, কিন্তু নির্ভর করবে এই আইন কারা প্রয়োগ করবেন। মারাত্মক চ্যালেঞ্জ এতগুলো লোক নিয়োগ দেওয়া হবে, এরা যে কোনো রাজনীতি করে না, কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই এমনটা পাওয়া কঠিন। কিন্তু, চেষ্টা করতে হবে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় ৩ হাজার প্রশিক্ষকের তালিকা তৈরি করা হবে বলও জানান ইসি কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে ৩০০টি সংসদীয় আসনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভবনের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র: সময় টেলিভিশন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়