শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩১ সকাল
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুর্দি সংগঠনের জিম্মায় আটক ৬০০ বিদেশি যোদ্ধা

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের’ (এসডিএফ) হাতে এখনও ৬০০ বিদেশি যোদ্ধা আটক রয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন । বিদেশিদের পাশাপাশি এসডিএফকে আটক ৪০০ সিরীয় যোদ্ধারও দেখভাল করতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডিল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গঠিত হওয়ার পর থেকে বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়ে কি করা হবে তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ওইসব বিদেশি যোদ্ধারা যেসব দেশের নাগরিক সেসব দেশকেই তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র মার্কিন নৌবাহিনীর কমান্ডার সিন রবার্টসন বলেছেন, ‘২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত পাওয়া হিসেব মতে ৪০ দেশের ৬০০ বিদেশি আটক যোদ্ধা রয়েছে এসডিএফের জিম্মায়।’ সিএনএনকে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটক যোদ্ধাদের ৪০ জন রাশিয়ার নাগরিক। জার্মানি ও ফ্রান্সেরও প্রায় এক ডজন নাগরিক রয়েছে এসব যোদ্ধাদের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এসডিএফের পক্ষে আর এত বন্দির দেখভাল করা সম্ভব হবে না। এসব বিদেশি যোদ্ধাদের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। মার্কিন সেনা কর্মকর্তা কর্নেল থমাস ভিয়াল মন্তব্য করেছেন, ‘এটা তাদের জন্য বিশাল বড় চাপ। তারা তো পুলিশিং করার সংগঠন নয়।’

এসডিএফ মূলত কুর্দিদের সংগঠন। নিষিদ্ধ ঘোষিত তুরস্কের কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা হিসেবে পরিচিত ‘পিপলস প্রটেকশন ইউনিট’ (ওয়াইপিজি) সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ (এসডিএফ)। আইএসের হাত থেকে সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল উদ্ধারে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় সহায় ছিল। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম দিকেই মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা মানবিজ পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি সংগঠনটির নেতাদের আশ্বস্ত করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে।

তবে এসডিএফের পক্ষ থেকে এখন সিরিয়ার আসাদ সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ খবর জানার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা চায় না এসডিএফ সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যাক। এসডিএফের পক্ষ থেকে প্রথমে দাবি করা হয়েছে, তারা খুব সামান্য কিছু বিষয়ে সিরিয়া সরকারের সহায়তা নিয়েছে। কিন্তু পরে সংগঠনটির একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এলহাম আহমেদ জানিয়েছেন, তারা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের জন্য সিরিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এমন কি সরকার নিয়ন্ত্রিত লাট্টাকিয়া শহরে অফিস খোলারও পরিকল্পনা করেছেন। বাংলা ট্রিবিউন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়