শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৭:০৭ সকাল
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৭:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সম্মানীটা সমবায় সমিতির মতো নয়

বিনোদন ডেস্ক : যখন তাকে জানালাম আড্ডা দিতেই মূলত আসা, তিনি একটু মুচকি হেসে মজা করে বললেন, ‘আড্ডা তো ঠিক আছে, ছাপা হবে তো?’ পাশেই ছিল সহশিল্পী নাদিয়া খানম। হঠাৎ মোশাররফ করিম নাদিয়াকে ফ্রিতে অ্যাডভাইজ দেওয়া শুরু করলেন, ‘শোন, ৪ বছর তুই সময় পাবি নিজেকে ডেভেলপ করতে। আর চার বছর পর তোর ম্যাচুইরিটিটা আরও বাড়বে।

বৈশাখ মাসে কাঁঠাল কিন্তু চিল্লায় না যে, আমি পাকি না কেন? মানুষই শুধু চিল্লায়।’ তাদের কথার মাঝখানেই মোশাররফ করিমকে প্রশ্ন করলাম, অসুস্থ থেকে সুস্থ হওয়ার পর এখনো কি বেশি রাত করে শুটিং করেন? তিনি তার স্বভাবসুলভ উত্তরে বললেন, ‘ঠিক নাই, আসলে করতে চাই না। কিন্তু ঈদের আগে তো বেশি চাপ থাকেই।’ ঈদের আগে এই পর্যন্ত কতগুলো কাজ করেছেন জিজ্ঞাস করতেই মুখের কথা টেনে বললেন, ‘আমি আসলে গুনে কাজ করি না, হিসাবও করি না।’ তা হলে তো অনেক কাজই করেছেন? ‘সেটা না, ৪-৫টি কাজ করেছি। তবে আজকে যে কাজ করছি, ‘সেটা আমার কাছে এখন বেশি ইম্পর্টেন্ট। এই নাটকটার নাম কিড সোলায়মান টু। সাজিন আহমেদ বাবুর লেখা ও পরিচালনায়।’ এই নাটকে আপনার চরিত্র আর গল্পটা আগেরটার থেকে কেমন? তিনি বিস্তারিত বলতে শুরু করলেন, ‘এই নাটকের নামটা কিড সোলায়মান হওয়ার কারণ খুবই ইন্টারেস্টিং।

সহজ সরল এক লোক একটি মেয়েকে ভালোবাসে। আর মেয়েটি কিছু শর্ত জুড়ে দেয় যে! এই নাটকে একদিকে সে কিডন্যাপার, অন্যদিকে সে কিড স্বভাবের। দুটো কিন্তু পরস্পর বিরোধী শব্দ, আবার একসময় এক হয়ে গেছে এই শব্দ দুটো। এই সিক্যুয়ালে দেখা যাবে, মেয়েটি তাকে বিয়ে করেছে। কিন্তু আগের মতোই তাকে শর্ত দিয়ে দৌড়ের ওপর রাখে।’ প্রতিটি নাটক এখন হচ্ছে ব্যক্তি কেন্দ্রিক অর্থাৎ মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, চঞ্চল কেন্দ্রিক। এই নামনির্ভর নাটক কতটুকু প্রাসঙ্গিক? কিছুটা সময় নিয়ে তিনি উত্তর দিলেন, ‘প্রাসঙ্গিক কি, মাঝে মাঝে একধরনের জোয়ার আছে। এটা বলব আমাদের এক ধরনের বন্ধ্যত্ব! আমাদের নাটকের নামটাই যে একটা বড় ফ্যাক্টর তা নয়, নাম ভেবেচিন্তে হওয়া উচিত। আমরা এখন এক ধরনের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি। আমার নিজেরও এসব ভালো লাগে না, বিশ্বাস করেন! এখন তো এমনই চলছে যে, অমুক রফিক, অমুক সফিক— একটানা এরকম না চলাই ভালো। আর মাঝখানে আমি শর্তও দিয়েছিলাম যে, কোনো মানুষের নামে নাটক হলে করব না। বিরক্ত হয়ে গেছি।

বৈচিত্র্য থাকা উচিত।’ সিক্যুয়াল নাটক হলে তা একঘেয়েমি ব্যাপার হয়ে যায় না? কিছুক্ষণ আমার মুখের দিক তাকিয়ে একগাল হেসে তার সহজ উত্তর, ‘এটাও কিন্তু একধরনের বন্ধ্যত্ব! কথাগুলো বললে কেমন শোনাবে জানি না, মানুষ যখন টাকার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, চকচক করে, তখন কিন্তু সে টাকাই দেখে। তার চিন্তা, সহজে কীভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। তাই নিয়ে মিডিয়া ব্যবসায়ীরা অস্থির থাকে। ক্রিয়েটিভিটি থাকে না। নতুন কিছু না করার কারণ হলো, এটাতেই ব্যবসা হচ্ছে। আর ওই ধুয়ে সে পানি খেতে চাচ্ছে। এই করলে যা হবে, তা হলো নতুন কিছু সৃষ্টি হবে না।’ আমাদের কথার মাঝেই চা দিয়ে গেল প্রডাকশন বয়। চা খেতে খেতেই আবার তাকে প্রশ্ন করলাম, কিন্তু ফিল্মের ক্ষেত্রে আপনি ব্যতিক্রম; যেমন কমলা রকেট, হালদা, টেলিভিশন, দারুচিনি দ্বীপ-নাটকের ক্ষেত্রে কেন নয়? ‘সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করার আগে যারা আমাকে নিয়ে কাজ করে তাদের বলতে হবে আপনাকে, চ্যানেলকে বলতে হবে।

তবে আমি অ্যাক্টর হিসেবে বলব যে, হ্যাঁ আমার অনেক বিরক্ত লাগে একই ধরনের ক্যারেক্টর করতে।’ অনেকেই বলে আপনাকে হালদাতে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেনি? তবে কমলা রকেট ঠিকঠাক মতো ছিল। ‘তা নিয়ে অনেকের ভিন্ন মতামত থাকতেই পারে। আর কাস্টিংটাই অন্যরকম। যেমন কমলা রকেট আমার ভালো একটি কাজ। প্রচার প্রচারণা হওয়া দরকার ছিল, তা তেমন হয়নি। নূর নতুন একটি ছেলে, ছবিটি নিয়ে অনেক খেটেছে। ছবিটি অনেক অনেক ভালো হয়েছে। আমি সিরিয়াসলি বলব যে, এই ছবি নিয়ে তোমরা লেখ।’ আচ্ছা, নাটকে আপনি তো অনেক ডিমান্ড করেন? তিনি আমার মুখ থেকে কথাটা টেনে উত্তর দিলেন, ‘আসলে এটাতো সমবায় সমিতি নয়। সমবায় সমিতি হলে সবাই তো সমান করে ভাগ করে নিত। আমার কথা যদি ব্যক্তিগতভাবে বলি তাহলে বলব, টাকা চাইতে আমার অস্বস্তি লাগে। আমি আমার জীবনে কখনো টাকা চেয়ে নেইনি। শুধু এইটুকুই বলব, আই অ্যাম অফারড।’ সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়