শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৪:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় হিন্দু কট্টরপন্থীরা চায় বাংলাদেশের হিন্দুরা আসামে এসে মুসলমানদের স্থান পূরণ করুক

কায়কোবাদ মিলন: হীরেন গোহাইন আসামের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক । আসামের মুসলমানদের সংকট নিয়ে আল জাজিরাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি । প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে কথিত আগতদের বিশাল একটি অংশকে আসাম তথা ভারত সরকার বহিষ্কার করতে চায়। এজন্য তারা সরকারিভাবে একটা তালিকা করছে ।

আসামে সর্বশেষ নাগরিকদের তালিকা হয়েছিল ১৯৫১ সালে ।বর্তমান তালিকা করার উদ্দেশ্য হল, কে প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক এবং কারা কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করছে । তবে হীরেন গোহাইনসহ অনেক মানবাধিকার কর্মী মনে করছেন,ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এই তালিকা হচ্ছে এবং বিজেপি গং হাজার হাজার জেনুইন নাগরিককে বহিষ্কারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে চায় । প্রকাশ ,৩ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত আসামে বিদেশি ইস্যুকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে । হীরেন গোহাইন বলেছেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা বাংলাদেশের হিন্দুদের আসামে আবাস গড়তে উৎসাহ যোগাতে চায় । তাদের নাগরিকত্বের ধারণা ইসরাইলিদের অনুরূপ। কোন ইহুদির জন্ম যেখানেই হোক না কেন তারা ইসরাইলের নাগরিক । ভারতীয় হিন্দুরাও তাই মনে করে । ভারতও মনে করে এবং তারা বলছেও এই ভূখ- হিন্দুদের জন্য । হীরেন গোহাইনও মনে করেন, হাজার হাজার বাংগালি বংশোদ্ভুত কে আসামে আটক করে রাখা হয়েছে এবং বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । এই পর্যায়ে মুসলমানদের সংখ্যাই ষোল আনা এবং তারা নিগৃহীত হওয়ার কথা তারস্বরে বলে যাচ্ছে ।

হীরেন গোহাইন বলেন, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত পুরো ভূখ- ছিল এক দেশ । কোন সীমান্ত না থাকায় মুসলমানদের পাশাপাশি কিছু হিন্দুও আসামে এসেছে । বাংলাদেশের জমিদারদের অত্যাচারে সাধারন মানুষ আসামমুখি হয়েছে এবং বৃটিশরা তা উৎসাহিত করেছে । হীরেন গোহাইন বলেন ইমিগ্রান্টদের সঙ্গে স্থানীয়দের মধ্যে বিরোধ ছিল এবং হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে রাখার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ছিল সক্রিয় । আরেকটি কথা হল, সীমান্ত না থাকার কারণে উন্নত জীবনের লক্ষে মুসলমানরা আসামে এসেছে । এদিকে মুসলমানদের মধ্যে জন্মহার বেশি ফলে তাদের লোকজন আসামে বেড়ে গেছে। তিনি বলেন,বাংলাদেশ ভেবেছিল আসাম তাদের ভাগে পড়বে । কিন্তু তারা শুধু সিলেট জেলাটাই পেয়েছে । গোয়াইন বলেন, এখনকার প্রবণতা হল ভরতের কট্টর হিন্দুরা চায় আসাম থেকে মুসলমানদের তাড়াতে । একই সাথে তারা চায় আসামের ওই শূণ্যস্থান বাংলাদেশের হিন্দুরা আসাম্এেসে পূরণ করুক। আল জাজিরা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়