শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৫৮ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০১৮, ০৩:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাছ লাগানো সওয়াবের কাজ

আমিন মুনশি: গাছ মানুষের শান্তি ও মঙ্গলের প্রতীক। আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.) সবসময়ই বৃক্ষরোপণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতেন। তিনি গাছের সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন করার উপদেশ দিতেন। বৃক্ষরোপণকারীর জন্য উত্তম সুসংবাদ দিয়েছেন তিনি। আবু হুরায়রা (রা.) একদিন গাছ লাগাচ্ছিলেন।এমন সময় নবীজি (সা.) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা! কী লাগাচ্ছ? তিনি বললেন, একটি চারা রোপণ করছি। নবীজি বললেন, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম রোপণের কথা বলে দেব? আবু হুরায়রা বললেন, আল্লাহর রাসুল! অবশ্যই বলুন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘এর প্রতিটির বিনিময়ে জান্নাতে তোমার জন্য একটি করে গাছ লাগানো হবে।’ (ইবনে মাজাহ : ৩৮০৭)

ইসলামের দৃষ্টিতে গাছ লাগানো সওয়াবের কাজ। বৃক্ষরোপণ সদকায়ে জারিয়া। একটি গাছের ছায়া, ফল ও কাঠ থেকে যত লোক উপকৃত হবে সবার আমলের সওয়াব পাবে গাছটির রোপণকারী ও পরিচর্যাকারী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো মুসলিম গাছ লাগায়, অথবা কোনো ফসল বোনে, আর মানুষ, পাখি বা পশু তা থেকে খায়, এটা রোপণকারীর জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হয়।’ (বোখারি : ২৩২০; মুসলিম : ১৫৫৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে ‘কেয়ামত পর্যন্ত (অর্থাৎ যতদিন গাছটি বেঁচে থাকবে বা তা থেকে উপকার গ্রহণ করা হবে) সে গাছ তার জন্য সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে।’ (মুসলিম : ১৫৫২)

আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি আর গাছ আমাদের শরীর থেকে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়, তা শুষে নেয়। এভাবেই গাছ আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে, পরিবেশে ভারসাম্য আনে। একটি গাছ বাতাস থেকে ৬০ পাউন্ডেরও বেশি ক্ষতিকারক গ্যাস শোষণ করে এবং ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সমপরিমাণ তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গাছ থেকে আমরা কাঠ পাই, যা দ্বারা আসবাবপত্র তৈরি করি।ঔষধি গাছ থেকে আমরা ওষুধ বানাই। ফুল গাছ আমাদের আঙিনা সুন্দর করে; রংবেরঙের ফুল আমাদের হৃদয়কে রাঙিয়ে দেয়।বিভিন্ন মৌসুমে নানারকম ফলের স্বাদে-ঘ্রাণে আমরা বিমোহিত হই।

এছাড়া গাছ ভূমি ক্ষয়রোধ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গাছ বৃষ্টিপাত, বন্যা, ঝড়ঝঞ্ঝা ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধ করে মানবসমাজকে নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে। তাই গাছ লাগানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার মুহূর্তেও তোমাদের কারও হাতে একটি চারাগাছ থাকে, তাহলে সে যেন সেই বিপদসংকুল মুহূর্তেও তা রোপণ করে দেয়।’ (আদাবুল মুফরাদ)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়