সুজন কৈরী : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শিশু সানজিদা আক্তারের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় তার গৃহশিক্ষিকা নুসরাত জাহান ও স্বামী মোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার আলামত পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গত ২১ এপ্রিল শিক্ষিকার বাসা থেকে শিশু সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়। প্রায় তিন মাস পর বৃহস্পতিবার সানজিদার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে পৌছায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় স্বামীসহ নুসরাতকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সানজিদার শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। মামলা হওয়ার পর তাদের দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত ২১ এপ্রিল বিকেলে যাত্রাবাড়ী থানার বিবির বাগিচা ২ নম্বর গেট এলাকায় গৃহশিক্ষিকা নুসরাতের বাসায় পড়তে যায় সানজিদা। এরপর ওই বাড়িতে শিক্ষিকার শয়নকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় সানজিদার বাবা পিকআপচালক শাহজাহান ও মা জান্নাতিকে জানানো হয়, তাদের মেয়ে খেলার ছলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে সানজিদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনার দিন সানজিদার বাবা-মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, নুসরাতের স্বামী মোরশেদ তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে লাশ ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি অপমৃত্যুর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়। এর প্রায় তিন মাস পর সানজিদার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নুসরাত ও তার স্বামী মোরশেদকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় করা জিডি বর্তমানে মামলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই মামলায় নুসরাত ও তাঁর স্বামী মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :