রবিন আকরাম : সিপিডি’র সংলাপ ও যোগাযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক অভ্র ভট্টাচার্য বলেছেন, জনতা ব্যাংক থেকে লুট হওয়া ৫১৩০ কোটি টাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬.৫ বছর চালানো যেত।
তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন- জনতা ব্যাংক থেকে ক্রিসেন্ট গ্রুপ হাতিয়ে নিয়েছে ৫১৩০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের জনগণের টাকা এভাবে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সালের বাজেট হল ৭৪১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে লুট হয়ে যাওয়া টাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চালানো যেত প্রায় ৬.৫ বছর।
‘ভর্তুকির টাকায় যারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ে তারাই কর্মজীবনে এসে সেই ভর্তুকির টাকার যোগান দেয় ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে, ভ্যাট দিয়ে। এখানে উল্লেখ্য যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের বাজেটে যে পরিমাণ টাকা যোগান দেয় তার প্রায় ৭০ শতাংশ আসে আয়কর এবং ভ্যাট উপখাত থেকে। অথচ সেই টাকা চলে যাচ্ছে লুটেরাদের হাতে। আর আমাদের ছাত্ররা কথা শুনছে সিট ভাড়া আর খাওয়া নিয়ে।’
প্রসঙ্গত, জনতা ব্যাংকে আবারও বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। এবার ভুয়া রপ্তানি নথিপত্র তৈরি করে সরকারের নগদ সহায়তা তহবিল থেকে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে ক্রিসেন্ট গ্রুপ। এই কেলেঙ্কারিতে সহায়তা করার পাশাপাশি ক্রিসেন্ট গ্রুপকে বিপুল পরমাণ অর্থায়নও করেছে জনতা ব্যাংক।
প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ক্রিসেন্টের কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। বিদেশে রপ্তানির ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রুপটি সরকারি ব্যাংক ও সরকারের তহবিল থেকে মাত্র পাঁচ বছরেই নিয়ে নিয়েছে ৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
আর এত সব জালিয়াতি হয়েছে জনতা ব্যাংক ইমামগঞ্জ করপোরেট শাখার মাধ্যমে। জানা যায়, শাখাটির মোট ঋণের ৯৮ শতাংশই এ গ্রুপের কাছে আটকা। যার সবই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ক্রিসেন্ট গ্রুপের পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে এক গ্রাহককেই নিয়ম লঙ্ঘন করে জনতা ব্যাংকের ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার ঋণ ও ঋণসুবিধা দেয়ার খবর বের হয়েছিল। আবারও একই ব্যাংকের নতুন এক কেলেঙ্কারির খবর মিলল।
আপনার মতামত লিখুন :